Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ সফল হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ! ‘ভারতের গর্ব’ নিয়ে কী বলছেন জ্যোতিষবিদরা
Moon Landing: ইসরোর মতে, ২৩ অগস্ট, সন্ধ্যে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদে অবতরণ করবে বলে জানানো হয়েছে। সাফল্য একেবারে দোরগোড়ায়। তাই মনে আনন্দ ও গর্ববোধ হলেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। শুরু হয়েছে কাউন্টডাউন। দীর্ঘদিনের আশা-আকাঙ্খা এবার অবসান হতে চলেছে বলেই ধারণা দেশবাসী থেকে বিজ্ঞানীদের। গত ১৪ জুলাই চন্দ্রাভিযানে পাড়ি দিয়েছে ভারতের গর্ব চন্দ্রযান-৩। পর পর ব্যর্থতার পর এবার আশার আলো দেখাচ্ছে এই লুনার মিশন। এই মিশনের জন্য কোনও ত্রুটি রাখেননি। চন্দ্রযানের ল্যাডার বিক্রমের কেরামতি দেখার আশায় এখন পাখির চোখ করে রেখেছে বিশ্বের প্রতিটি মহাকাশবিজ্ঞানী। ইসরোর মতে, ২৩ অগস্ট, সন্ধ্যে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদে অবতরণ করবে বলে জানানো হয়েছে। সাফল্য একেবারে দোরগোড়ায়। তাই মনে আনন্দ ও গর্ববোধ হলেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি চন্দ্রযানের সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন জ্যোতিষবিদরাও।
জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষবিদ্যা কিন্তু এক নয়। অর্থ সম্পূর্ণ বিপরীত। জ্যোতির্বিদ্যা হল সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি, উল্কা, ধূমকেতু। সূর্যের চারপাশে পৃথিবী-সহ প্রতিটি গ্রহ নিজ নিজ কক্ষপছে ঘুরপাক খায়। পদার্থবিদ্যা, গণিত, শক্তিশালী দূরবীনের মাধ্যমে গবেষণার কাজ সহজ করার নামই হল জ্যোতির্বিদ্যা। কিন্তু জ্যোতিষবিদ্যায় গ্রহনক্ষত্র, সূর্যের অবস্থান থাকলে তার কার্যক্রম কিন্তু আলাদা। এখানে পৃথিবীর কোনও আলাদা স্থান নেই। পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে সূর্য, রাহু-কেতু, বুধ, বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল। মানুষের হাত-পা-মুখের আকার বুঝে ও গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান বুঝে ভূত-ভবিষ্যত বলে দেওয়া সম্ভব হয়। এই চর্চায় পদার্থবিদ্যা বা গণিত, দূরবীণ ছাড়াই ভবিষ্যত, অতীত বলে দেওয়া যায়।
চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ ও মুহুর্ত
ISRO জানিয়েছে, গত ১৪ জুলাই, দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-৩। জ্যোতিষচর্চার মতে, রাশিফল অনুযায়ী, চন্দ্রযান-৩-এর লগ্ন হল বৃশ্চিক ও লগ্নের অধিপতি মঙ্গল দশম ঘরে শুক্রের সঙ্গে অবস্থিত। জ্যোতিষীদের মতে, গ্রহগুলির এই অবস্থানের কারণে, চন্দ্রযান-৩ মিশনকে আরও শক্তিশালী করার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ উত্ক্ষেপণের সময় গ্রহগুলি দশম ঘরে অবস্থান করেছে, আর সেখান থেকে অবতরণের সময়, চন্দ্রযান ও দশম উভয় অংশকে শক্তিশালী করে তুলেছে। এক্ষেত্রে ISRO ও চন্দ্রযান-৩ মিশনের জন্য বেশ উপকারী। এই মিশনের জন্য বিজ্ঞানীদের আশা-আকাঙ্খা ও পরিশ্রমের ফল পাওয়াকে আরও মজবুত করে তুলছে।
জ্যোতিষীদের মতে, লঞ্চের সময়, ভাগ্যস্থানের অধিপতি চাঁদ সপ্তম ঘরে উন্নীত হয়, চন্দ্রের উত্থান চন্দ্রযানের পক্ষে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সর্বোত্তম বিষয় হল বৃষ রাশির চাঁদ রোহিণী নক্ষত্রে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।। সবচেয়ে অনুকূল নক্ষত্র এটিই । বিশ্বাস করা হয় যে এই কারণে চন্দ্রযান মিশনের সাফল্যের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
কী বলছেন জ্যোতিষীরা
সাফল্যের দোরগোড়ায় একেবারে। তার আগে সবরকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি হচ্ছেন ইসরোর মহাকাশবিজ্ঞানীরা। এই মিশনের সাফল্যের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন এখনও পর্যন্ত। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, গ্রহ নক্ষত্রগুলিও এই মিশনের জন্য অনুকূল অবস্থায় রয়েছে। তাই চন্দ্রযান-৩ সফল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ শতাংশ।
জ্যোতিষীবিদদের মতে, ১৪ জুলাই চন্দ্রযান- ৩ উত্ক্ষেপণের সময় চাঁদ তার উচ্চ রাশিতে অবস্থান করেছিল। এই সময়টা ছিল সেরা শুভ সময়। কারণ সেই সময় চাঁদ রোহিণী নক্ষত্রে সবচেয়ে শক্তিশালী। চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ, চাঁদ ছিল রোহিণী নক্ষত্রে।
অন্যদিকে, ২৩ অগস্ট, চাঁদ তার দুর্বল বৃশ্চিক রাশিতে ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে, তাই১০টা ২০ মিনিটের মধ্যে চন্দ্রযান অবতরণ সম্পূর্ণ নিরাপদ হবে। সেই সময়টিকে খুব ভালো বলে মনে করা হয়।
এছাড়া এই সময়ে সূর্য সিংহ রাশিতে অবস্থানে রয়েছে, তাই চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য সম্পূর্ণ হবে। বৃহস্পতি রাহু মেষ রাশিতে রয়েছে, যার কারণে বিজ্ঞানীদের জন্য উত্তেজনা বাড়বে, তবে গ্রহের যোগফলই বলছে শতভাগ সাফল্য।