Nag Panchami 2023: সংসারে ঘোর বিপদ এড়াতে নাগপঞ্চমীর দিন ভুলেও কী কী কাজ করবেন না? তুষ্ট হবেন শিব ও সর্পদেবতাও
Hindu Festival: নাগ পঞ্চমীর দিন বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যা মেনে চলা জরুরি। শাস্ত্র অনুসারে, এদিন বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে না চললে, জীবনে নেমে আসতে পারে সমস্যার ঝড়। তাই সকলকে নিয়মগুলি মেনে চলা উচিত।
দেশের একটি বড় অংশে, লোহার তাওয়ায় রুটি তৈরি করার প্রবণতা রয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত, রুটি খাওয়ার চল রয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এমনকি বাঙালিদের মধ্যেও রুটি খাওয়ার চল রয়েছে। ভালের পাশাপাশি আটা বা ময়দার রুটি না খেলে তা অসম্পূর্ণ থাকে। একই সঙ্গে, হিন্দুধর্মে উল্লিখিত বিভিন্ন উত্সব বা ব্রতে রুটি খাওয়া ও রান্না করা নিষিদ্ধ। হিন্দু ধর্মে খাবারকেও ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। খাদ্য হল অন্নপূর্ণা। রান্নাঘরে অন্নপূর্ণার অবস্থান থাকে বলে, খাওয়া-দাওয়াকেও ব্রত-উত্সবের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
ঠিক সেইভাবে, নাগ পঞ্চমীর দিন বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যা মেনে চলা জরুরি। শাস্ত্র অনুসারে, এদিন বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে না চললে, জীবনে নেমে আসতে পারে সমস্যার ঝড়। তাই সকলকে নিয়মগুলি মেনে চলা উচিত। বেশ কিছু উৎসবে তাওয়া দেওয়া নিষিদ্ধ। অর্থাৎ কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানে আভেনে বা উনুনে রুটি সেঁকা নিষিদ্ধ। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, আগামী ২১ অগস্ট নাগ পঞ্চমীর উত্সব পালিত হবে। শাস্ত্র নিয়ম অনুসারে, নাগ পঞ্চমীতেও ঘরে রুটি তৈরি অনুচিত।
– নাগ পঞ্চমীর দিন উনুনে বা আভেনে তাওয়ার উপর রুটি তৈরি করা বা খাবার রান্না করা উচিত নয়। বিশ্বাস অনুসারে, রুটি তৈরিতে ব্যবহৃত লোহার কড়াইকে সাপের ফণা বলে মনে করা হয়। তাওয়া হল সাপের ফণার তাই নাগপঞ্চমীর দিন তাওয়া আগুনে রাখা হয় না।
– ব্রহ্মপুরাণ অনুসারে, ভগবান ব্রহ্মা নাগপঞ্চমীর দিনে সর্পদেবতাকে পুজো করার বর দিয়েছেন। এ দিনে সর্পদেবতাকে পুজো করার রীতি আছে। তাই এদিন নাগদেবতাকে পুজো করলে রাহু-কেতু জন্মগত দোষ ও কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই এই দিনে অন্য কিছু কাজ নিষিদ্ধ।
– শুধু রান্না করার ব্যাপারেই নয়, কোনও কি্ছু কাজের জন্য জমি কাটা বা খনন করা উচিত নয়। এছাড়া এদিন সেলাই করা, সূচিকর্ম করা উচিত নয়। কারণ নাগ পঞ্চমীর দিন ছুরি, সূঁচের মতো ধারালো ও সূঁচযুক্ত জিনিসের ব্যবহার অশুভ বলে মনে করা হয়।
– দীপাবলির দিনেও রুটি তৈরি করা উচিত নয়। জ্যোতিষশাস্ত্রের বিশ্বাস অনুসারে, দেবী লক্ষ্মীর উৎসবে বিশেষ খাবার তৈরির প্রথা রয়েছে। সেই রীতি এখনও বিদ্যমান। আজও বেশিরভাগ বাড়িতে এই উত্সবে রুটির পরিবর্তে পুরি তৈরি করা হয়।
– হিন্দুদের বিশ্বাস, শারদ পূর্ণিমার দিনে সম্পদের দেবী লক্ষ্মী আবির্ভূত হন। তাই শারদ পূর্ণিমায় বাড়িতে গরম ও তাজা রান্না তৈরি করা উচিত নয়। নিয়ম মেনে ক্ষীর ও পুরি বানানোরও নিয়ম আছে। শুধু এইদিনেই নয়, শীতলা অষ্টমীতে শীতলাদেবীর পূজা করা হয়। দেবী শীতলাকে বাসি খাবার নিবেদন করা হয়। দেবীকে তুষ্ট করতে এই দিনে বাড়িতে তাজা রুটি তৈরি করা নিষিদ্ধ।