Sai Sudarshan: শুভমনের ফ্লপ শো, মোতেরায় সুপার হিট সুদর্শন
CSK vs GT, IPL 2023 FINAL: ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়লেন। ঋদ্ধি আউট হলেও রানের গতি কমতে দেননি সাই। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া মূলত অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করলেন। এক দিক থেকে রানের গতি ঠিক রাখলেন তরুণ বাঁ হাতি ব্যাটার।
মরসুমের শুরুতে ফিল্ডিংয়ের গুরুতর চোট পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার কেন উইলিয়ামসন। তাঁর পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামানো হয় সাই সুদর্শনকে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে নজর কাড়েন। যদিও কয়েক ম্যাচে তাঁকে খেলানো হয়নি। ফিনিশারের খোঁজে অভিনব মনোহরকে খেলান গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তবে খুব বেশি দিন সাইকে দলের বাইরে রাখা যায়নি। হার্দিক পান্ডিয়াকে ইতিমধ্যেই ক্যাপ্টেন কুলের বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনিও যে তরুণ ক্রিকেটারদের দারুণ ভাবে ম্যানেজ করতে পারেন। সেটা নুর আহমেদ হোক কিংবা সাই সুদর্শন। এক ম্যাচে তাঁর সুন্দর স্কুপ ক্রিকেট বিশ্বের নজর কেড়েছিল। ঠান্ডা মাথার সাইকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিল টাইটান্স। ফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে আরও একবার প্রমাণ করলেন, ফুরিয়ে যাবার মতো ব্যাটার নন সাই। বিস্তারিত TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। তাদের সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল টিম গেম। টুর্নামেন্টে ভিন্ন ৮ জন ক্রিকেটার ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন গত মরসুমে। এ বার শুভমন গিল অনবদ্য ছন্দে। তাঁর ছায়ায় ঢাকা পড়েছে অনেক ইনিংসই। তবে ফাইনালে দু-বার জীবন পেয়েও বড় ইনিংস পেলেন না। তাঁর ওপেনিং সঙ্গী ঋদ্ধিমান সাহা ঝকঝকে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। তবে ফাইনালে টাইটান্সের নায়ক হয়ে উঠলেন সাই সুদর্শন। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে তাঁর স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অনেকেই চাইছিলেন রানের গতি বাড়াতে না পারলে তাঁর উঠে যাওয়া উচিত। রিটায়ার্ড আউট হয়েছিলেন সাই সুদর্শন। ফাইনালে সেই সুযোগই দিলেন না।
ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়লেন। ঋদ্ধি আউট হলেও রানের গতি কমতে দেননি সাই। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া মূলত অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করলেন। এক দিক থেকে রানের গতি ঠিক রাখলেন তরুণ বাঁ হাতি ব্যাটার। মাত্র ৩৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন সাই। তাতেও অবশ্য ফোকাস হারাননি। ইনিংসের ১৭ তম ওভারে তাঁর রোষে তুষার দেশপান্ডে। তিনটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি মারেন। শেষ ওভারে ৪৭ বলে ৯৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ফিরলেন সাই। ততক্ষণে দলের স্কোর দুশো পার করে দিয়েছেন।