Bangladesh’s Schedule for World Cup :এখনও সাবালক হয়নি বাংলাদেশ, বিশ্বকাপে হিসেব উল্টে দিতে পারবেন সাকিবরা?
কিন্তু কাউকেই বাজি হিসেবে ধরা যায় না। কেউ কেউ চমকে দেবেন, কিন্তু ধারাবাহিক নন। ছোট দলগুলোর বিরুদ্ধে 'বাঘ'। কিন্তু বড় টিমের মুখে পড়লেই বলতে হয়, বাংলাদেশ এখনও সাবালক হয়নি।
২০০৭ সালে বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে ধূমকেতুর মতো উত্থান বাংলাদেশের (Bangladesh Cricket)। ১৬ বছর পার করে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের টিম কোথায় দাঁড়িয়ে? আজও বাংলাদেশের আগে-পরে ব্যবহার করতে হয় উঠতি কিংবা ইমার্জিং শব্দ। কেউ কেউ খেলে দেবেন। কিন্তু কাউকেই বাজি হিসেবে ধরা যায় না। কেউ কেউ চমকে দেবেন, কিন্তু ধারাবাহিক নন। ছোট দলগুলোর বিরুদ্ধে ‘বাঘ’। কিন্তু বড় টিমের মুখে পড়লেই বলতে হয়, বাংলাদেশ এখনও সাবালক হয়নি। আরও ভালো করে বললে, এখনও শৈশব কাটে বাংলাদেশ ক্রিকেটের! চলতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদরা কি ভারতের মাটিতে ফুল ফোটাতে পারবেন? পারবেন, স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখতে। একগুচ্ছ প্রশ্ন নিয়ে এ বারের বিশ্বকাপে নামতে চলেছে বাংলাদেশ। TV9 Bangla Sports–এর এই প্রতিবেদনে দেখে নিন বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশের পর কী ভাবছেন সাকিব, তামিমরা?
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৭ অক্টোবর, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। ধরমশালায় ওই ম্যাচ খেলবেন সাকিব, লিটনরা। তিনদিন পর, ১০ অক্টোবর আবার ধর্মশালাতেই নামবে বাংলাদেশ টিম। ওই ম্যাচের প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন। গত বারের চ্যাম্পিয়ন টিম ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামবে তারা। ধরমশালার মতো পুনে ও কলকাতায় দুটো করে ম্য়াচ খেলবে বাংলাদেশ টিম। প্রশ্ন হল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের মতো কঠিন টিমগুলোর বিরুদ্ধে তামিম ইকবালরা কি কিছু করে দেখাতে পারবেন? অতীতে চোখ রাখতে দেখা যাবে, বাংলাদেশ ৫০ ওভার ফর্ম্যাটে বরাবরই ভালো পারফর্ম করে। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের নকআউটে পা দিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালেও খারাপ খেলেনি টিম। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে, বাংলাদেশ কখনওই ওয়ান ডে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে শেষ চারে পা রাখতে পারেনি। তবে এ বার সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে পারেন সাকিবরা। ভারতীয় উইকেটের চরিত্র বাংলাদেশের মতোই। ফলে চেনা বাইশ গজ এবং চেনা পরিবেশেই নামবে বাংলাদেশ টিম। যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারেন সাকিবরা, তা হলে অঘটন ঘটিয়ে সেমিফাইনালে যেতেই পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সূচি
- ৭ অক্টোবর, বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, ধরমশালা
- ১০ অক্টোবর, ইংল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ, ধর্মশালা
- ১৪ অক্টোবর, নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ, চেন্নাই
- ১৯ অক্টোবর, ভারত বনাম বাংলাদেশ, পুনে
- ২৪ অক্টোবর, দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ, মুম্বই
- ২৮ অক্টোবর, কোয়ালিফায়ার ১ বনাম বাংলাদেশ, কলকাতা
- ৩১ অক্টোবর, পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ, কলকাতা
- ৬ নভেম্বর, বাংলাদেশে বনাম কোয়ালিফায়ার ২, দিল্লি
- ১২ নভেম্বর, অস্ট্রেলিয়া বনাম বাংলাদেশ, পুনে
একটা সময় বাংলাদেশ টিম ছিল মাশরাফি মুর্তাজা কেন্দ্রীক। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানদের বয়সও ছিল কম। সেই সময় আবেগে ভর করেই এগিয়ে বাংলাদেশ টিম। নিজেদের দেশে তারকা। কিন্তু বিদেশের মাটিতে নিজেদের কোনও দিন ধারাবাহিক হতে পারেনি বাংলাদেশ টিম। প্রজন্ম পাল্টেছে। লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ এসেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টায়নি। মুস্তাফিজুর রহমানের চমকপ্রদ উত্থান হয়েছিল ক্রিকেটে। তাঁর অফকাটার নিয়ে কথা বলা হত। ইদানীং তিনি আইপিএল ম্যাচেই সুযোগ পান না। লিটন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে এসে চরম ব্যর্থ হয়েছেন। পেসার তাসকিন আহমেদও চমৎকার পারফর্ম করতেন একসময়। সেই তিনিও ধারাবাহিক নন। চাপ যেখানে, সেখানেই বাংলাদেশ ব্যর্থ। এই চাপ সামলানোর কাজটা করতে পারেন একমাত্র সাকিব। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকায় প্রথম তিনে রাখা হয় তাঁকে। সাকিবের কাছে এটা শেষ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। তিনিও চাইবেন, নিজেকে আর একবার চেনাতে। কিন্তু বাকি টিমকেও তো খেলতে হবে। বাংলাদেশ কি চমকে দিতে পারবে? সময় বলবে।