Virat Kohli: বিরাটের স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান জ্ঞান নেই! কোহলির আমিষ ছাড়ার যুক্তিতে গলদ দেখছেন চিকিৎসক
Virat Kohli's Diet Plan: বছর সাতেক আগে ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli) জানান, তিনি আর আমিষ খাবার খাবেন না। হঠাৎ করেই বিরাটের নিরামিষাশী হওয়া নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাটের নিরামিষাশী হওয়ার কারণ জানা গিয়েছে।
নয়াদিল্লি: কথায় বলে, ‘শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়।’ কিছু কিছু সময় মানুষ খুব সহজে তাঁর পরিচিত ব্যক্তিদের কথা শুনে নিজের খাদ্যাভাসে, জীবন-যাপনের ধরণে পরিবর্তন করেন। তাতে অভ্যস্থ হয়ে যাওয়ার পর যদি জানতে পারেন, যে পন্থা অবলম্বন করেছেন তিনি, তা সঠিক নয়। তা হলে কী হবে? খাদ্যাভাসে হঠাৎ কোনও পরিবর্তন শরীরকে আরও খারাপ করে দিতে পারে। তা অনেকেই জানেন না। বছর সাতেক আগে ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli) জানান, তিনি আর আমিষ খাবার খাবেন না। হঠাৎ করেই বিরাটের নিরামিষাশী হওয়া নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাটের নিরামিষাশী হওয়ার কারণ জানা গিয়েছে। বিরাট তাঁর আমিষ খাবার ছাড়ার কারণ নিয়ে যে যুক্তি দিয়েছেন, তা শুনে কোহলির স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান নিয়ে জ্ঞানের উপর আঙুল তুলেছেন সাইরিক অ্যাবি ফিলিপস নামের এক চিকিৎসক। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
২০১৮ সালে বিরাট কোহলি ঘাড়ে আঘাত পেয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর সার্ভাইকাল স্পাইন অর্থাৎ, মাথা এবং ঘাড়ের সংযোগকারী মেরুদণ্ডের অংশে চোট লাগে। ওই যন্ত্রণা বিরাটের ঘাড় থেকে হাত অবধি নেমে আসে। এই ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে কোহতি তাঁর ডায়েটে বিরাট পরিবর্তন করেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেন, ‘আমার আমিষ ছাড়ার পিছনে শারীরিক যোগ রয়েছে। আমার স্পাইনে ব্যাথা হত। এক সময় স্নায়ুতে ভীষণ যন্ত্রণা হত। রাতের পর রাত ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি আমি ঘুমোতে পারতাম না। সারা রাত বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করতে থাকতাম। এক ভাবে ঘুমোতেও পারতাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এক জনকে চিনতাম, যিনি আকুপাংচার ট্রিটমেন্ট করতেন। তিনি আমাকে বলেন, আমার পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। সেই সময় আমার হাড় থেকে ক্যালশিয়াম বেরিয়ে এসে পাকস্থলীতে জমতে শুরু করে। পাকস্থলীতে ভালো মাত্রায় ক্ষার থাকা জরুরি। আর বেশি অ্যাসিড জমা হওয়ায় পুরো পরিপাকতন্ত্রর কাজে বাধা পড়ছিব। তিনি আমাকে ডায়েট বদল করার কথা বলেন। ডায়েটে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে আনার কথা জানান। সেই দিনের পরে রাতারাতি আমি আমার ডায়েট বদলে ফেলেছিলাম। এখন আমি ভীষণ খুশি যে, সে দিন একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
The presenter asks Virat Kohli, the star Indian cricketer – “Why did you become a vegetarian?”
His answer is mind-boggling.
He starts with his source of advice – an Accupuncturist. Accupuncture is a pseudoscience. It has no meaningful principles or reasonable action. It is not… pic.twitter.com/vQ5lSECIDD
— TheLiverDoc (@theliverdr) August 22, 2023
সাইরিক অ্যাবি ফিলিপস নামের এক চিকিৎসক বিরাটের আমিষ খাবার ছাড়ার ব্যাখ্যাকে মোটও ভালোভাবে নেননি। উল্টে তাঁর মতে, ‘বিরাটের স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান জ্ঞান নেই।’ তিনি বলেন, ‘পাকস্থলী অম্লীয়। এবং আপনি চান বা না চান তেমনই থাকবে। অ্যাসিড উৎপাদন হজম প্রক্রিয়ায় পাকস্থলীর অবদান অনন্য। অ্যাসিড উৎপাদন খাদ্য বা জলের সঙ্গে গৃহীত রোগজীবাণু থেকে শরীরকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি পেটকে ক্ষারীয় করতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপনি পর্যাপ্ত ক্ষার গ্রহণ করবেন।’
ওই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘নিরামিষাশী হওয়ার অর্থ এই নয় যে কেউ পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামযুক্ত হবে। আর মাংস খেলে ক্যালসিয়াম ক্ষয় হবে তেমনটাও নয়। নিরামিষ খাবার না খাওয়া একটি সংস্কৃতি-ধর্মীয় কারণ এবং একটি আদর্শও নয়। মানুষ বিভিন্ন ব্যক্তিগত কারণে এটা বেছে নেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের শক্তিশালী প্রমাণের ভিত্তিতে নয়। সার্ভাইভাল নেক ডিস্কের স্ফীত হওয়ার সমস্যা নিরামিষাশী হয়ে ঠিক করা যায় না। এর জন্য প্রকৃত বৈজ্ঞানিক নির্দেশিকা রয়েছে। বিরাট কোহলিকে আমি খুব পছন্দ করি। তিনি জাতীয় সম্পদ। কিন্তু এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি, তাঁর স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান জ্ঞান নেই।’