Mohun Bagan: ডার্বি ভুলে এএফসির ম্যাচেই ফোকাস মোহনবাগানের
AFC CUP: নেপালের মাচিন্দ্রা এফসিতে জাতীয় দলের ১০ জন ফুটবলার রয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছে চার বিদেশি। মোহনবাগানের জন্য লড়াই কঠিন হলেও, প্রতিপক্ষের বাধা পেরোতে পুরোদমে প্রস্তুত সবুজ-মেরুন শিবির।
কলকাতা: বড় ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। তবু ডার্বি হারের যন্ত্রণা ভুলতে পারছেন না সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। নয়ে নয় করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে মোহনবাগান। বিশাল বাজেটের মোহনবাগানকে হারিয়ে চমকে দেয় ইস্টবেঙ্গল। নন্দ কুমারের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয় শুভাশিসদের। ডুরান্ড হারের রেশ এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি মোহনবাগান। বুধবার এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ম্যাচে মাঠে নামছে সবুজ-মেরুন শিবির। প্রতিপক্ষ নেপালের মাচিন্দ্রা এফসি। গত দু’বছর ধরেই এএফসি কাপে ভালো শুরু করেও, শেষটা ভালো হচ্ছে না সবুজ-মেরুনের। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বার দুরন্ত রেজাল্ট করতে চায় মোহনবাগান। সেই লক্ষ্যেই হাই বাজেটের দল গড়েছে সবুজ-মেরুন। দেশিয় ফুটবলারদের স্কোয়াডও বেশ পোক্ত। অনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল আব্দুল সামাদ, আনোয়ার আলিদের মতো জাতীয় দলে খেলা ফুটবলারদের সই করিয়েছে মোহনবাগান। বড় ম্যাচে অবশ্য আনোয়ার ছাড়া বাকিরা ফ্লপ। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেসন কামিন্সও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। আলবেনিয়ার হয়ে ইউরোতে খেলা আর্মান্দো সাদিকু নজর কাড়লেও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এএফসি কাপে এ বার কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে মোহনবাগান। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
নেপালের মাচিন্দ্রা এফসির চেয়ে ধারে ভারে এগিয়ে মোহনবাগান। তবে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ সবুজ-মেরুন। কারণ, ডার্বিতে খাতায় কলমে এগিয়ে থাকলেও ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারতে হয়। মাচিন্দ্রার বিরুদ্ধে নামার ৪৮ ঘণ্টা আগে বাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো বলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ অতীত। ওই ম্যাচ থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। নেপালের মাচিন্দ্রা এফসির বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবই। ডার্বির পর অনুশীলনের বেশি সময়ও পাইনি। তার মধ্যেই এএফসি কাপের ম্যাচে দল নামাতে হচ্ছে। এমনকি পঞ্জাব ম্যাচের চার দিনের মধ্যে ডার্বি খেলতে হয়েছে। আমি কোনও অজুহাত দিচ্ছি না। এএফসির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমরা ভুল শুধরেই মাঠে নামব।’
কামিন্স, সাদিকুরা ডার্বিতে গোল করতে ব্যর্থ হলেও, তাঁদের উপরে ভরসা রাখতে বলছেন ফেরান্দো। বাগান কোচের কথায়, ‘প্রত্যেককেই নির্দিষ্ট সময় দেওয়া উচিত। কামিন্স, সাদিকুদের সময় দিলে ওদের থেকেই সেরাটা পাওয়া যাবে। ম্যাচ প্রতি ম্যাচ ওরা উন্নতি করবে। প্রত্যেকেরই সময় দরকার। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং এখানকার ফুটবল পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু তো সময় লাগবেই।’ অন্যদিকে, মোহনবাগানের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি সমর্থকদের আশ্বাস দিয়ে বললেন, ‘এটা আমার প্রথম ডার্বি ছিল। জিততে পারিনি ঠিকই। পরের ডার্বি নিশ্চয়ই জিতব।’
নেপালের মাচিন্দ্রা এফসিতে জাতীয় দলের ১০ জন ফুটবলার রয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছে চার বিদেশি। মোহনবাগানের জন্য লড়াই কঠিন হলেও, প্রতিপক্ষের বাধা পেরোতে পুরোদমে প্রস্তুত সবুজ-মেরুন শিবির।