Novak Djokovic: নাদালকে মনে পড়িয়ে দিচ্ছেন আলকারাজ, কে বললেন এমন কথা?

নিউ ইয়র্ক: রাফায়েল নাদালকে (Rafael Nadal) যেন দেখতে পাচ্ছেন উল্টো দিকে। রাফার মতো স্পেনেরই টেনিস প্লেয়ার। সেই ছটফটে মনোভাব, জেতার খিদে, মরিয়া হয়ে কোর্টে নামা। এ সব সম্বল করেই টেনিস দুনিয়ায় এখন এক নম্বর প্লেয়ার কার্লোস আলকারাজ (Carlos Alcaraz)। সেই তাঁকে দেখেই অভিভূত নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। উইম্বলডনের ফাইনালে এই আলকারাজের কাছেই হেরে গিয়েছিলেন জোকার। […]

Novak Djokovic: নাদালকে মনে পড়িয়ে দিচ্ছেন আলকারাজ, কে বললেন এমন কথা?
আলকারাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জোকার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2023 | 7:00 AM

নিউ ইয়র্ক: রাফায়েল নাদালকে (Rafael Nadal) যেন দেখতে পাচ্ছেন উল্টো দিকে। রাফার মতো স্পেনেরই টেনিস প্লেয়ার। সেই ছটফটে মনোভাব, জেতার খিদে, মরিয়া হয়ে কোর্টে নামা। এ সব সম্বল করেই টেনিস দুনিয়ায় এখন এক নম্বর প্লেয়ার কার্লোস আলকারাজ (Carlos Alcaraz)। সেই তাঁকে দেখেই অভিভূত নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। উইম্বলডনের ফাইনালে এই আলকারাজের কাছেই হেরে গিয়েছিলেন জোকার। সিনসিনাটি ওপেনে সেই হারের বদলা নিলেন ২০ বছরের টেনিস প্লেয়ারের বিরুদ্ধে। প্রায় চার ঘণ্টার ম্যাচে জিতে তৃপ্তি পেয়েছেন ৩৬ বছরের জকোভিচ। এটিপি টুরের ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা বেস্ট-অফ-থ্রি ফাইনাল। জিতেও তরুণ আলকারাজে মুগ্ধ জোকার। কী বললেন তিনি? বিস্তারিত TV9Bangla Sportsএর এই প্রতিবেদনে।

২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল মনে পড়ে যাচ্ছে জোকারের। আলকারাজের বিরুদ্ধে জেতার পর জকোভিচ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না কেরিয়ারে এমন ম্যাচ খুব বেশি খেলেছি। ২০১২ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নাদালের বিরুদ্ধে ম্যাচটার সঙ্গে তুলনা করতে পারে। হ্যাঁ এটা ঠিক যে, তিনটে সেটের ম্যাচ ছিল। কিন্তু প্রায় চার ঘণ্টা খেলতে হয়েছে। আলকারাজকে সত্যিই কুর্নিশ করতে ইচ্ছে করছে। এটা ভুললে চলবে না যে, ও তরুণ প্লেয়ার। তা সত্ত্বেও ভীষণ পরিণত টেনিস খেলেছে। মাত্র ২০ বছর বয়সেও চমৎকার চাপ সামলেছে।’

সব মিলিয়ে চারবার জকোভিচ আর আলকারাজের দেখা হয়েছে। দুটো করে ম্যাচ জিতেছেন দু’জন। জকোভিচ ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে এর আগে হারিয়েছেন আলকারাজকে। আর স্পেনের তারকা উইম্বলডন ফাইনালে পাঁচ সেটের ম্যাচে হারিয়েছেন জোকারকে। জকোভিচ বলছেন, ‘ম্যাচটা জেতার পর কোর্টে দাঁড়িয়ে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল। সেরা সময়ে যখন নাদালের মুখে নামতাম, তখন যেমন অনুভূতি হত, তেমন।’

ইতিমধ্যে ২৩টা গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন জোকার। কত দূর তিনি যেতে পারেন, তা আলোচনার বিষয়। ৩৬ বছরেও সার্বিয়ান টেনিস তারকা দুরন্ত পারফর্ম করছেন। ইউএস ওপেনে এ বার দেখা যাবে দু’জনকে। জোকার বলছেন, ‘এক একটা পয়েন্ট তোলার জন্য লড়তে হয়েছে। আসলে এক-একটা পয়েন্ট অর্জন করতে হয়। কোর্টে আলকারাজের সঙ্গে অভিজ্ঞতাটা চমৎকার।’

আলকারাজও মুখিয়ে রয়েছেন ইউএস ওপেন খেলার জন্য। জোকারের কাছে হার মেনে নিতে পারছেন না। ‘নোভাকের মতো প্লেয়ারের কাছ থেকে প্রশংসা শোনাটা বিরাট ব্যাপার। এই রকম একটা ম্যাচ খেলার আনন্দই আলাদা।’