TV9 Explained: মুম্বইতে ভারতের প্রথম Apple Store, দেশের জন্য বিরাট গুরুত্বপূর্ণ, কেন?
Apple Stores In India News: মুম্বইয়ে 18 এপ্রিল এবং দিল্লিতে 20 এপ্রিল Apple Stores খোলা হচ্ছে। মুম্বইয়ের স্টোরটি মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয়েছে। এদিন সকাল 11টা থেকে সেই স্টোর উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে কাস্টমারদের জন্য। কী সুবিধা মিলবে সেখান থেকে, একটা Apple Store কতটা আলাদা, সেই সব তথ্য জেনে নিন।
Apple Stores In India: মুম্বইতে ভারতের প্রথম Apple Store-এর উদ্বোধন করলেন সংস্থার সিইও টিম কুক, যার নাম Apple Bkc। মঙ্গলবার মায়ানগরীর BKC-তে Jio World Centre-এ ভারতের প্রথম অ্যাপল স্টোরের পর্দা উন্মোচিত হল। শুধু মুম্বইতেই নয়। Apple ভারতে আরও একটি ফ্ল্যাগশিপ রিটেল আউটলেট খুলবে। দিল্লির সকেতে সেই Apple Store খোলা হবে 20 এপ্রিল। মুম্বইয়ের ইভেন্টটিতে একাধিক বলিউড সেলেব হাজির হয়েছেন অ্যাপল সিইও টিম কুকের সঙ্গে। পাশাপাশি দিল্লির স্টোরটি উদ্বোধন করতে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে চিম কুকের। ভারত যে Apple-এর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট তা পরিষ্কার করে দিয়েছে দুই দিনের ব্যবধানে দিল্লি ও মুম্বইতে দুটি Apple Store-এর উদ্বোধন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, Apple Store তার ব্যবহারকারীদের জীবনে কতটা ভিন্ন প্রভাব ফেলবে, কী সুবিধাই বা মিলবে স্টোরগুলি থেকে, সেই সব তথ্যই জেনে নেওয়া যাক।
Apple Store: কী সুবিধা পাবেন কাস্টমাররা?
মুম্বইয়ের অ্যাপল স্টোরটিতে iPhone থেকে শুরু করে iPad, Apple Watch থেকে iMac, AirPod-সহ বিবিধ প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন কাস্টমাররা। কোম্পানির নিজস্ব স্টোর হওয়ায় এখানে গ্রাহকরা সমস্ত প্রোডাক্টের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট থেকে কালার অপশন পাবেন তাঁরা। এক কথায়, Apple Store হল এমনই এক জায়গা যেখানে কোনও প্রোডাক্ট কেনার জন্য আপনাকে এক ফোঁটাও অপেক্ষা করতে হবে না। অ্যাপ স্টোর থেকে তার কাস্টমাররা আর কী সুবিধা পাবেন, তা দেখে নিন।
* বিভিন্ন ধরনের Apple অ্যাক্সেসারিজ়ও পাওয়া যাবে অ্যাপল স্টোর থেকে।
* Apple-এর নানাবিধ সার্ভিস সম্পর্কে কাস্টমারদের জানাতে এই স্টোরে থাকছে আর্কেড এবং মিউজ়িক কর্নার।
* বিল পেমেন্টের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না। কর্মীরাই অ্যাপল স্টোরে মোবাইল পেমেন্ট টার্মিনাল নিয়ে ঘুরবেন। সেখানে ক্রেডিট থেকে ডেবিট, এমনকি UPI-এর মাধ্যমেও পেমেন্ট করতে পারবেন কাস্টমাররা।
* Apple Store-এ তার কাস্টমারদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট ছুঁয়ে তার অনভূতি নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এমন কোনও মানে নেই যে, প্রোডাক্টগুলি কিনতেই হবে।
* স্টোরে একজন Apple Expert-এর সাহায্য নিতে Genius Bar-এর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ডিভাইস সেটআপ করা থেকে শুরু করে Apple ID রিকভার করা এবং Apple Care Plan বাছাই করা ইস্তক সব কাজে কাস্টমারদের সাহায্য করবেন ওই এক্সপার্ট।
* এই স্টোরগুলি থেকে Apple কাস্টমাররা সংস্থার সুবিধাজনক ডেলিভারি এবং পিকআপ বিকল্প, বিশেষ কেরিয়ার অফার, দুর্দান্ত ট্রেন-ইন মান এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য পেতে পারেন। অনলাইনে অর্ডার করার পর তা স্টোর থেকেও পিক করার অপশন থাকবে কাস্টমারদের জন্য।
Apple Store এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
Apple এর আগে ভারতে কোনও স্টোর খুলতে পারেনি বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে। ভারতে আগে থেকেই যে Apple Storeগুলি রয়েছে, সেগুলি অপারেট করে Imagine এবং Future World-এর মতো সংস্থাগুলি। এখন প্রথম স্টোর দুটি খোলার ফলে Apple ভারতে একটি ফুল স্ট্যাক প্লেয়ার হয়ে উঠবে। অর্থাৎ, উৎপাদন থেকে শুরু করে রিটেল পর্যন্ত সবকিছুর পরিচালনা করতে পারবে এই স্টোরগুলি থেকেই। সোমবার সংস্থাটি দাবি করেছে, তাদের ডেভেলপার নেটওয়ার্কের সাহায্যে ভারতের 10 লাখেরও বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। এই স্টোরগুলি থেকে ভারতীয়রা দেশে নির্মিত iPhone-সহ অন্যান্য অ্যাপল প্রোডাক্ট ক্রয় করতে পারবেন।
Apple Store কতটা আলাদা?
Apple Store মানেই যে মানুষ সেখানে শুধু কেনাকাটি করবেন তা নয়। স্টোর খোলার পিছনে Apple-এর মূল লক্ষ্য হল, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা আরও চমৎকার করা। মানুষজন এখানে এসে Apple প্রোডাক্টের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন, সেগুলি কেনার আগেই ব্যবহারের সামান্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন, মনে তৈরি হওয়া বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন, সর্বোপরি শিখতে পারবেন, কীভাবে একটা iPhone বা MacBook ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথম Apple Store কবে খোলা হয়েছিল?
2001 সালে ভার্জিনিয়ার ম্যাকলিনের টাইসন্স কর্নারে এবং ক্যালিফর্নিয়ার গ্লেনডেল গ্যালেরিয়াতে প্রথম Apple Store খোলা হয়েছিল। অ্যাপল স্টোর খোলার জন্য অর্থাৎ সরাসরি রিটেল মার্কেটে হাজির হওয়ার জন্য তীব্র সমালোচিতও হয়েছিলেন স্রষ্টা স্টিভ জোবস। সেই সব সমালোচনার উত্তরে তিনি জবাব দিয়ে বলেছিলেন, “মেগাহার্টজ় এবং মেগাবাইটস সম্পর্কে বারবার শোনার থেকে এবার কাস্টমাররা শিখতে এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন।”
দুই দশকেরও বেশি সময় পর বিশ্বজুড়ে এখন Apple-এর 500টিরও বেশি ফিজ়িক্যাল স্টোর্স রয়েছে। পুরনো, নতুন, কিনতে আগ্রহী, Apple-এর সব কাস্টমারদের জন্যই স্টোরগুলি আলাদা একটা মান তৈরি করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কিছু Apple Store এর মধ্যেই আইকনিক লোকেশন হয়ে উঠেছে।