চন্দ্রযান-3 চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই ভারতের মাটি ছুঁল Ultraviolette F77 স্পেস এডিশন, দাম 5.60 লাখ টাকা

Ultraviolette F77 এর স্পেস এডিশনের দাম 5.60 লাখ টাকা। বিশেষ সংস্করণের বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলটি লঞ্চ করা হয়েছে ভারতের অসাধারণ মহাকাশ যাত্রা অর্থাৎ চন্দ্রযান-3 মিশনকে উৎসর্গ করে।

চন্দ্রযান-3 চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই ভারতের মাটি ছুঁল Ultraviolette F77 স্পেস এডিশন, দাম 5.60 লাখ টাকা
Ultraviolette F77 এর বিশেষ এডিশন এল ভারতে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2023 | 3:46 PM

হাই-পারফরম্যান্স পিওর ইলেকট্রিক দু-চাকা প্রস্তুতকারক সংস্থা Ultraviolette Automotive ভারতে একটি নতুন বাইক লঞ্চ করল। আর সেই বাইকটি হল জনপ্রিয় Ultraviolette F77 এর স্পেস এডিশন। চন্দ্রযান-3 এর কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ এডিশনটি নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এটি একটি লিমিটেড এডিশন। গুটিকয়েক মানুষই এই ইলেকট্রিক বাইক ক্রয় করার সুযোগ পাবেন।

এই স্পেশ্যাল এডিশন ইলেকট্রিক বাইকের দাম 5.60 লাখ টাকা। বিশেষ সংস্করণের বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলটি লঞ্চ করা হয়েছে ভারতের অসাধারণ মহাকাশ যাত্রা অর্থাৎ চন্দ্রযান-3 মিশনকে উৎসর্গ করে। আলট্রাভায়োলেট অটোমোটিভের তরফে জানানো হয়েছে, মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তিতে ভারতের অগ্রগতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই লেটেস্ট মডেলটি তৈরি করা হয়েছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, তার নিদর্শন মিলবে ই-বাইকটি দেখলেই। কারণ, বাইকের সারা বডি-জুড়েই রয়েছে অ্যারোস্পেস-গ্রেড উপকরণ।

আর এই সব কারণের জন্যই পিওর ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলটির দাম তার স্ট্যান্ডার্ড মডেলের থেকে অনেকটাই বেশি। Ultraviolette F77 স্ট্যান্ডার্ড মডেলের দাম 3.80 লাখ টাকা। 22 অগস্ট থেকে এই বিশেষ এডিশনের ই-বাইকের বুকিং শুরু হবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই কাস্টমাররা এই বাইকটি বুক করতে পারবেন। যদিও এই ইলেকট্রিক বাইকের কেবলই 10টি এডিশন তৈরি করা হবে। অর্থাৎ আপনি যদি সত্যিই এই ই-বাইকে আকর্ষিত হন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব রেজিস্ট্রেশনটা করিয়ে নিন।

অ্যাডভান্সড ইলেকট্রনিক্স ও টেকনোলজি দেওয়া হচ্ছে বাইকটিতে, যা হালফিলের এয়ারক্রাফ্টে দেখা যায়। মোটরসাইকেলটিতে কাস্টম মেশিনড অ্যারোস্পেস গ্রেড অ্যালুমিনিয়াম কম্পোনেন্ট দেওয়া হয়েছে এনহ্যান্সড্ ডিউরেবিলিটির জন্য। বাইকের এক্সটিরিয়ার ফিনিশিং করা হয়েছে অ্যারোস্পেস-গ্রেড পেইন্টের সাহায্যে।

দুর্ধর্ষ রেঞ্জ দিতে পারে Ultraviolette F77 ই-বাইকটি। স্পেশ্যাল এডিশনের ক্ষেত্রেও তা-ই হতে চলেছে। বাইকের হাই-পারফরম্যান্স মোটর 39.94 bhp পিক পাওয়ার এবং 100 Nm পর্যন্ত সর্বাধিক টর্ক আউটপুট দিতে পারে। মাত্র 2.9 সেকেন্ডের মধ্যেই ইলেকট্রিক বাইকটি 0-60 kmphতে সুইফ্ট অ্যাক্সিলারেশন করতে পারে। ই-বাইকের সর্বাধিক স্পিড হল 152 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।