Chandrayaan 3: চাঁদের মাটি ছুঁয়ে প্রথম এক ঘণ্টায় কী করবে ল্যান্ডার?
Chandrayaan 3 Landing Update: প্রথমে রোভারটি ল্যান্ডার থেকে বের হবে। তারপরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই চাঁদের পৃষ্ঠে চলতে শুরু করবে। চন্দ্রযান-3-এর ল্যান্ডার মডিউল 40 দিন ধরে রোভারটিকে বয়ে এনেছে।
চাঁদের মাটিতে পা দিতেই ল্যান্ডার মডিউল থেকে বেরিয়ে আসবে রোভারটি। এবার আসল কাজ শুরু হবে বিজ্ঞানীদের। প্রথম এক ঘন্টা বিজ্ঞানীরা বিশেষ নজর রাখবে যানটির দিকে। সেই সময়ই রোভারটি ল্যান্ডারকে একা রেকেই চন্দ্র পৃষ্ঠে চলে যাবে এবং সেখানে একটি দিন কাটাবে, যা পৃথিবীর 14 দিনের সমান। এই সময়ে, ইসরো বিজ্ঞানীরা চাঁদে জল অনুসন্ধানের পাশাপাশি খনিজ সম্পর্কে তথ্য পাবেন। এ ছাড়া তারা ভূমিকম্প, তাপ ও চাঁদের মাটি নিয়েও গবেষণা করবে রোভার। সফট ল্যান্ডিংয়ের পরেই এই ব কাজ শুরু করবে না। আগে রোভারটি নেমে আসবে। তারপরেই শুরু হবে এসব কাজ। রোভার এবং ল্যান্ডার থেকে ইসরো যে তথ্য পাবে, তা কেবল 14 দিনের জন্য থাকবে। কারণ এই সময়ের মধ্যেই চাঁদ পূর্ণ আলো পাবে। আর আলো ছাড়া অর্থাৎ সৌরশক্তি ছাড়া রোভারটি কাজ করতে পারবে না। ল্যান্ডার, রোভার তাদের শক্তি পায় সূর্যের তাপ থেকে।
রোভার ল্যান্ডার থেকে বের হবে:
প্রথমে রোভারটি ল্যান্ডার থেকে বের হবে। তারপরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই চাঁদের পৃষ্ঠে চলতে শুরু করবে। চন্দ্রযান-3-এর ল্যান্ডার মডিউল 40 দিন ধরে রোভারটিকে বয়ে এনেছে। রোভারটির ওজন 26 কেজি। রোভারটি চন্দ্রযান-2-এর বিক্রম রোভারের মতো। অর্থাৎ আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এই এক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রম ল্যান্ডারটি খুলবে এবং রোভারের জন্য একটি র্যাম্প তৈরি করবে। অর্থাৎ সেই র্যাম্প ধরেই রোভারটি এদিক ওদিক ঘুরে বেরাবে। ছয় চাকার রোভারে ভারতের পতাকা এবং ইসরোর লোগো রয়েছে। অবতরণের প্রায় চার ঘণ্টা পর এটি ল্যান্ডারের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে নামতে শুরু করবে। অবতরণের সময় রোভারের গতিবেগ হবে প্রতি সেকেন্ডে 1 সেমি। রোভার তার নেভিগেশন ক্যামেরার মাধ্যমে আশেপাশের পরিবেশ পরীক্ষা করতে থাকবে।
ইসরোর ডেটা সেন্টারে তার সম্পূর্ণ তথ্য পাঠাতে থাকবে। সঞ্জীব সহজপাল জানিয়েছেন, তথ্য এবং সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত তথ্য কেবল রোভারের মাধ্যমে নয়, ল্যান্ডারের মাধ্যমেও পাবেন বিজ্ঞানীরা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ল্যান্ডার এবং রোভার 14 দিনের সম্পূর্ণ কার্যকলাপের তথ্য পাঠাবে।