Chandrayaan 3: চাঁদে নামছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’, এবার কী হবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রোপালশন মডিউলের?
Chadrayaan 3 Update: ISRO-র মতে, প্রোপালশান মডিউলটি এতদিন যেমন ভাবে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছিল, তেমন ভাবেই চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে থাকবে। তবে সে পথ হারাবে না। কখন কোথায় যাচ্ছে, কীভাবে যাচ্ছে, তার সব খবরই থাকবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কাছে।
ইতিহাস গড়তে হাতে আর মাত্র 4 দিন। চন্দ্র জয়ের গৌরবগাঁথায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে ইসরো (ISRO) তথা ভারতের নাম। ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-3-এর প্রপালশন মডিউল থেকে আলাদা করা হয়েছে ল্যান্ডারকে। তারপরই চাঁদের ভূমিতে অবতরণের উদ্দেশে নিজের যাত্রা শুরু করেছে ‘ল্যান্ডার’ বিক্রম। ISRO-র বিবৃতি অনুসারে, ISRO অনুসারে, শুক্রবার (18 অগাস্ট, 2023) বিকেল 4 টার দিকে তার ডি-বুস্টিং পরিকল্পনাও সফল হয়েছে। এখন চাঁদের কক্ষপথে ভারতের তিনটি মহাকাশযান রয়েছে। চন্দ্রযান-2-এর অরবিটার, চন্দ্রযান-3-এর প্রপালশন মডিউল এবং ল্যান্ডিং মডিউল। আর তিনটিই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে। শুক্রবার ডি-বুস্টিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের একদম কাছে পৌঁছে যাবে। এরপর মহাকাশযানের গতি আরও কমতে থাকবে। এটি সরাসরি চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার (23 অগাস্ট) চাঁদে সফট-ল্যান্ড করবে। আর এদিকে একা হয়ে পড়েছে প্রোপালশান মডিইলটা। তবে তার কী হবে? পথ হারিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াবে? আর কয়েক মাস পরে কী তবে ‘অযান্ত্রিক’-এ পরিণত হবে?
আলাদা হওয়া প্রপালশান মডিউলটির কী হবে?
প্রপালশান মডিউলের অন্যান্য দায়িত্বও রয়েছে। এটি আগামী কয়েক মাস বা বছর ধরে চাঁদের কক্ষপথে উপস্থিত থাকবে। এর পাশাপাশি, এই মডিউলটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে। আর এমন গ্রহগুলিও খুঁজে বের করবে, যেখানে প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
এখন বিক্রম ল্যান্ডার এবং এর ভিতরের রোভার 23 অগাস্টে অবতরণ পর্যন্ত চাঁদের চারপাশে ঘুরবে। ল্যান্ডার এবং রোভার উভয়ই বিশেষ পেলোড, অর্থাৎ পরীক্ষার যন্ত্র দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা চাঁদের পৃষ্ঠে থাকার সময় পরবর্তী 14 দিনের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা চালাবে। আর সেই সব তথ্য ISRO-এর মিশন কমান্ড সেন্টারে পাঠাবে।
পথ হারাবে না:
ISRO-র মতে, প্রোপালশান মডিউলটি এতদিন যেমন ভাবে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছিল, তেমন ভাবেই চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে থাকবে। তবে সে পথ হারাবে না। কখন কোথায় যাচ্ছে, কীভাবে যাচ্ছে, তার সব খবরই থাকবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কাছে। আগামী কয়েক মাস বা বছর ধরে ঘুরবে এই প্রোপালশান মডিউল। এই প্রোপালশান মডিইলে আছে ‘শেপ’ নামক পেলোড। যখন এই প্রোপালশান মডিউল চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে, তখন শেপ নিজের কাজ করে যাবে। আর সব তথ্য ISRO-কে পাঠতে থাকবে।