Chandrayaan 3: শুধু বিজ্ঞানই নয়, চাঁদে নেমে অর্থনীতির বিচারেও কতটা সাফল্যের দিকে এগিয়ে গেল ভারত?
Chandrayaan-3 Moon Mission: ভারতের কাছে এই মিশন বিরাট গুরুত্বপূর্ণ। ভারতকে নানা দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে চন্দ্রযান-3 মিশন। অর্থাৎ বিজ্ঞানের দিক থেকে তো বটেই, অর্থনীতি ও ব্য়বসার দিক থেকেও দেশ বিরাট সাফল্যের মুখ দেখল।
বুধরাব অর্থাৎ 23 অগস্ট নির্ধারিত সময়ের আগেই চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-3। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) প্রমাণ করেছে ভারতের পক্ষে সব সম্ভব। আজ পর্যন্ত চাঁদের যে জায়গায় কেউ যেতে পারেনি, সেখানেই সফট ল্যান্ডিং করেছে ভারতের চন্দ্রযান-3। এটি হল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) তৃতীয় চন্দ্র অন্বেষণ মিশন। চাঁদে এখনও পর্যন্ত মোট 110টি মিশন হয়েছে, যার মধ্যে 42টি ব্যর্থ। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের জন্য 38বার প্রচেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু মাত্র 52 শতাংশ প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। ভারতের আগে 6টি দেশ বা সংস্থা চাঁদে তাদের যান পাঠিয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগই সফলতা পায়নি। কোনও কোনও দেশ চাঁদের একদম কাছে গিয়েও মাটি ছুঁতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, চিন, জাপান, ইসরায়েল, রাশিয়ার মতো দেশ। ভারতের কাছে এই মিশন বিরাট গুরুত্বপূর্ণ। ভারতকে নানা দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে চন্দ্রযান-3 মিশন। অর্থাৎ বিজ্ঞানের দিক থেকে তো বটেই, অর্থনীতি ও ব্য়বসার দিক থেকেও দেশ বিরাট সাফল্যের মুখ দেখল।
চতুর্থ পরাশক্তি হয়ে উঠেছে ভারত:
চন্দ্রযান-3 মিশনে প্রায় 615 কোটি টাকা খরচ হয়েছে। চাঁদে যাওয়া রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের মহাকাশযানের তুলনায় এটি খুবই কম খরচে তৈরি করা হয়েছে। এত কম খরচ সত্ত্বেও চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছুঁতে পেরেছে ভারতের চন্দ্রযান-3। এই অবতরণের মাধ্যমে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চিনের পরে ভারত চতুর্থ দেশ হয়েছে, যে চাঁদর মাটি স্পর্শ করেছে।
এটি ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে:
চন্দ্রযান-3-এর সাফল্য ভারতের অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। এবার মহাকাশ অভিযানে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে পারে। আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বিশ্বের Launch market-এ ভারতের অংশীদারিত্ব প্রচুর বেড়ে যাবে বলে আশা করাই যায়। স্বল্প খরচে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাইবেন বিদেশের বেসরকারী মহাকাশ সংস্থাগুলিও। ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানক্ষেত্র অনেকটাই সুনাম অর্জন করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই, তবে তা আরও বাড়তে থাকবে।
ব্যর্থ হওয়া দেশগুলি সাহায্য চাইবে:
এখনও পর্যন্ত প্রচুর দেশ চাঁদে তাদের যান পাঠানোর চেষ্টা করেছে। তবে তার অনেকগুলোই ব্যর্থ। ভারতের সাফল্যের পর সেই সব দেশ মিশন পাঠানোর জন্য ভারতের সাহায্য চাইবে। এতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও ভাল হবে। আমেরিকা 17 আগস্ট 1958 থেকে 14 ডিসেম্বর 1972 পর্যন্ত 31টি মিশন পাঠিয়েছিল। এর মধ্যে 17টি মিশন ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকার মিশন 45.17 শতাংশ সফল হয়েছিল। আর রাশিয়া সাফল্য পেয়েছে মাত্র 21.21 শতাংশ। ইসরাইল 22 ফেব্রুয়ারি 2019 তারিখে চন্দ্র মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করে। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। রাশিয়া 23 সেপ্টেম্বর 1958 থেকে 9 আগস্ট 1976 পর্যন্ত 33টি মিশন পাঠিয়েছিল। কিন্তু 26 বার ব্যর্থ হয়েছে। 1990 সালের জানুয়ারিতে, আমেরিকা-রাশিয়া ছাড়াও, জাপান চাঁদে একটি মিশন পাঠানোর জন্য বিশ্বের তৃতীয় দেশ হয়ে ওঠে। কিন্তু তাও অসফল হয়।