Volcano: আগ্নেয়গিরি থেকে মুহুর্মুহু বজ্রপাত! ছড়িয়ে পড়ছে আকাশে, কীভাবে সম্ভব এমন কাণ্ড?

Latest Science News: অ্যাকেটেনাঙ্গো আগ্নেয়গিরির উচ্চতা 3976 মিটার অর্থাৎ 13,045 ফুট। এর চারপাশে আরও অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যার কারণে তাদের বলা হয় ট্রেস হারমানাস। আশ্চর্যজনকভাবে, এই আগ্নেয়গিরিতে একাধিক গর্ত রয়েছে।

Volcano: আগ্নেয়গিরি থেকে মুহুর্মুহু বজ্রপাত! ছড়িয়ে পড়ছে আকাশে, কীভাবে সম্ভব এমন কাণ্ড?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2023 | 5:55 PM

কালো অন্ধকার করে আসা আকাশ থেকে হঠাৎই একের পর এক বজ্রপাত হতে দেখেছেন নিশ্চয়ই। অনেক সময় সেই দৃশ্য ভয়ঙ্কর রূপও ধারণ করে। কিন্তু কখনও আগ্নেয়গিরি থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের জায়গায় বজ্রপাত হতে দেখছেন? তাও আবার আকাশের দিকে। নিচ থেকে উপরে উঠে যাচ্ছে, যেন আকাশ ভেদ করে চলে যেতে চাইছে। গুয়াতেমালায় একটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যা বেশ বিপজ্জনক আগ্নেয়গিরি বলেই পরিচিত। অ্যান্টিগুয়া শহরে উপস্থিত অ্যাকেটেনাঙ্গো আগ্নেয়গিরি একটি ‘স্ট্র্যাটোভোলকানো’। অর্থাৎ যখনই এতে বিস্ফোরণ হয় তখনই এর ছাই বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমন্ডল (বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর) পর্যন্ত চলে যায়। অর্থাৎ এটি বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। এই আগ্নেয়গিরির একটি ভিডিয়ো টুইটারে ভাইরাল হচ্ছে। আর সেই ভিডিয়ো দেখলে আপনি চমকে উঠবেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, অ্যাকেটেনাঙ্গো আগ্নেয়গিরি থেকে বজ্রপাত হচ্ছে। অ্যান্টিগা শহরের রাস্তায় আলো জ্বলছে। অর্থাৎ, হয় সেখানে সন্ধ্যা, নয়তো আবহাওয়ার কারণে অন্ধকার। এমন সময়ে আগ্নেয়গিরির উপর থেকে বজ্রপাত হতে থাকে। এই বজ্রপাত আকাশের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। অর্থাৎ ভূমিতে উপস্থিত আগ্নেয়গিরি থেকে আকাশে বজ্রপাত হচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের এই ভিডিয়োটি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। তবে এর পিছনে কারণ কী? কেন এমন হচ্ছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

Acatenango আগ্নেয়গিরির উচ্চতা 3976 মিটার অর্থাৎ 13,045 ফুট। এর চারপাশে আরও অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যার কারণে তাদের বলা হয় ট্রেস হারমানাস। আশ্চর্যজনকভাবে, এই আগ্নেয়গিরিতে একাধিক গর্ত রয়েছে। এর উপরে পাঁচ বা তার বেশি জায়গা থেকে বিস্ফোরণ হয়। এই আগ্নেয়গিরিটিতে গত 2 লাখ বছর ধরে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। এই আগ্নেয়গিরির দক্ষিণ অংশে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর। অন্যদিকে, উত্তর দিকে গুয়াতেমালার পার্বত্য অঞ্চল রয়েছে। আধুনিক ইতিহাসে এর বিস্ফোরণের তথ্য খুবই কম। 1924 থেকে 1927 সালের মধ্যে এটিতে অনেক বিস্ফোরণ হয়েছিল। এরপর 1972 সালে আবারও একটি বিরাট বিস্ফোরণ হয়। এরপর সেখান থেকে বের হওয়া ছাই ও লাভা 25 কিলোমিটার দূরে চলে যায়। কিন্তু এখানে মূল বিস্ফোরণ ঘটেছিল 1900 থেকে 5000 বছরের মধ্যে। যেহেতু এই আগ্নেয়গিরির উপরে একাধিক গর্ত রয়েছে তাই এক জায়গা থেকে বজ্রপাত না হয়ে অনেকগুলো জায়গা থেকে বেরিয়ে আসে। ফলে দেখতে এমন লাগে।