Elephant Poaching: প্রথমে হাতির কাটা মুন্ডু, আর এবার কাটা পা! চোরাশিকারিদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
Alipurduar: সোমবার সন্ধেয় সংকোশ নদীর ধারে নিমাইটাপু এলাকা থেকে একটি হাতির কাটা পা উদ্ধার হয়। ভল্কা-বারবিশা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই এলাকাটি অসম-বাংলা সীমানার কাছেই।
আলিপুরদুয়ার: ফের বন্য হাতির কাটা দেহাংশ উদ্ধার আলিপুরদুয়ারে। সোমবার সন্ধেয় সংকোশ নদীর ধারে নিমাইটাপু এলাকা থেকে একটি হাতির কাটা পা উদ্ধার হয়। ভল্কা-বারবিশা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই এলাকাটি অসম-বাংলা সীমানার কাছেই। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মাত্র তিন দিন আগেই এই নিমাইটাপুর অদূরেই সংকোশ নদীর ধারে একটি বন্য হাতির কাটা মাথা পাওয়া গিয়েছিল। সেই জায়গাটি নিমাইটাপু থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। আর এবার হাতির বিচ্ছিন্ন পা উদ্ধার হল সংকোশ নদীর ধারে। পর পর এমন ঘটনায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। উদ্বিগ্ন বন দফতরও। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বন বিভাগের অফিসাররা। শুক্রবারের ঘটনার সঙ্গে এদিনের ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর অপূর্ব সেন জানাচ্ছেন, হাতির পায়ের ওই অংশটি ফরেন্সিক পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে বিষয়টি এখনও তদন্ত সাপেক্ষ বলে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। বনবিভাগ সূত্রে খবর, সোমবার উদ্ধার হওয়া হাতির কাটা পা, কয়েকদিন আগে উদ্ধার হওয়া হাতির মাথা… একই হাতির কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে বনকর্মীদের অনুমান, যে কাটা মাথাটি পাওয়া গিয়েছিল কিছুদিন আগে, সেটি অসমের দিক থেকে সংকোশ নদীতে ভেসে এসেছিল। তবে এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, কী কারণে হাতির দেহাংশ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট।
উল্লেখ্য, শুক্রবার হাতির যে মাথাটি উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে হাতির কোনও দাঁত ছিল না। সেক্ষেত্রে চোরাশিকারিদের বাড়বাড়ন্তের তত্ত্বও উঠে আসতে শুরু করেছে। হাতিটিকে প্রথমে মেরে, দাঁত কেটে নিয়ে তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।