POCSO: মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন সৎ বাবার, যাবজ্জীবন সাজা শোনাল আলিপুরদুয়ার আদালত
২০১৬ সালের ২৪ মার্চ। রং খেলে স্থানীয় মুজনাই নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল ওই ছোট্ট মেয়েটি। সেই নদীঘাট থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। ফালাকাটা থানায় অভিযোগও দায়ের হয়।
আলিপুরদুয়ার: মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন হল সৎ বাবার। দোলের দিন রং খেলে নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল পাঁচ বছরের শিশুকন্যা। এরপর আর ফেরেনি সে। পরদিন নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ২০১৬ সালের এই ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দীর্ঘ শুনানিপর্ব শেষে দোষীকে শাস্তি দিল আলিপুরদুয়ার আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জজ স্পেশাল পকসো কোর্টের বিচারক পাপিয়া দাস।
২০১৬ সালের ২৪ মার্চ। রং খেলে স্থানীয় মুজনাই নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল ওই ছোট্ট মেয়েটি। সেই নদীঘাট থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। ফালাকাটা থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। সে বছর ২৯ মার্চ গ্রেফতার করা হয় সৎ বাবাকে। সাত বছর ধরে বিচার চলল। শনিবার দোষীকে শাস্তি দিল আদালত।
আইনজীবী প্রশান্তনারায়ণ মজুমদার বলেন, ঘটনার দিন পুকুরে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়ে। সৎ বাবাও ছিল সেখানে। সকলেই চেনা মুখ। তবে রঙে মুখ ঢাকা। নদীঘাটে লোকজনের ভিড়ের ফাঁকেই হঠাৎ ছোট্ট মেয়েকে কোনওভাবে আড়ালে নিয়ে চলে যায় সৎ বাবা। পরদিন দেহ উদ্ধারের পর সে একেবারে বিশ্বস্ত মহলে নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকারও করে। গ্রেফতার করা হয় সৎ বাবাকে। ১৯ জন এই মামলায় সাক্ষী দেন।