WB Panchayat Elections: কেউ ডিউটি এড়াতে, কেউ স্রেফ নেমতন্ন বাড়িতে যাবেন , ফালাকাটায় ১টি আসনে লড়ছেন ২৫ প্রার্থী
Alipurduar: জানা গিয়েছে, কেউ-কেউ ভোটে দাঁড়াচ্ছেন পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটি এড়াবেন বলে। কেউ আবার দাঁড়িয়েছেন স্রেফ অনুষ্ঠানবাড়িতে নিমন্ত্রণ খাবে বলে। কারোর বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধার মা। ডিউটিতে চলে গেলে তাঁকে কে দেখবে?
আলিপুরদুয়ার: এক আসনে ২৫ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আবার ২২ জন নির্দল। তাঁরা আবার পেশায় শিক্ষক। এদের মধ্যে আবার একই পরিবারের রয়েছেন সাতজন। বাকি তিন জন অন্য রাজনৈতিক দলের। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা দেখবে এমনই নির্বাচন। রাজ্যের কোথাও এক আসনে জন্য এতজন প্রার্থী রয়েছেন কি না তা জানা যায়নি।
কিন্তু এত জন প্রার্থী দাঁড়ালেন কেন?
জানা গিয়েছে, কেউ-কেউ ভোটে দাঁড়াচ্ছেন পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটি এড়াবেন বলে। কেউ আবার দাঁড়িয়েছেন স্রেফ অনুষ্ঠানবাড়িতে নিমন্ত্রণ খাবে বলে। কারোর বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধার মা। ডিউটিতে চলে গেলে তাঁকে কে দেখবে? সেই কারণে ঝুট-ঝামেলা এড়াতে প্রার্থীই হয়ে গেলেন। নিয়ম অনুযায়ী, কেউ ভোটে দাঁড়ালে স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে আর ভোটের ডিউটি করতে হয় না। এই প্রার্থীদের একজন তো বলেই ফেললেন, “পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে চারদিকে যা শুরু হয়েছে তাতে ভোটের ডিউটি করতে রীতিমতো ভয় লাগছে। পরিবারের কথা চিন্তা করেই এবারে ভোটে দাঁড়িয়েছি।” একই পরিবারের সাতজন এবারে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। ভোটের সময় এই পরিবারে একটি অনুষ্ঠান রয়েছে। তাঁরাও ভোটের ডিউটি এড়ানোর জন্য, পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার জন্য প্রার্থী হয়েছে। কারোর আবার বক্তব্য, বাড়িতে রয়েছেন শয্যাশায়ী অসুস্থ মা। ভোটের ডিউটিতে গেলে তাঁকে দেখবেন কে? সেই কারণে তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন।
এই বিষয়ে বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার জানান, “একটি আসনে এত প্রার্থী। ব্যালট পেপার নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। তা অবশ্য আলিপুরদুয়ার শহর থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ২২ জন শিক্ষক ডিউটি এড়াতে ভোটে দাঁড়ালেন। এই আসনের ৭ টি বুথে ২ জন করে কর্মী ও আলাদা দুটো বাক্সের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। ব্যালট পেপার তিনটি স্তরে ভাগ করতে হবে। একটির উপর পড়ে তবে কালির ছাপ লেগে ভোট বাতিল হতে পারে। তাই নিয়োগ করা হচ্ছে দুজন কর্মী ও। আর ব্যালট পেপারের সাইজ বড় হওয়ায় দুটো বড় বাক্সের ও ব্যবস্থা থাকছে বুথে।”