Asansol: ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ নিয়ে হুলস্থূল স্কুল, এল পুলিশও, কিন্তু কে সেই ছাত্রী বলতে পারল না কেউ
Asansol: কেবল একটি মৌখিক অভিযোগ ঘিরে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল আসানসোলের একটি স্কুলে। অভিযোগ কে করেছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। তবে অভিযুক্ত ওই স্কুলেরই এক অশিক্ষক কর্মী। আর তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন অভিভাবকরা।
আসানসোল: পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে চরম শোরগোল। স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করলেন অভিভাবকরা। পুলিশের সঙ্গে হল ধস্তাধস্তিও। কিন্তু কার শ্লীলতাহানি হয়েছে? কেই বা অভিযোগকারী? তাই পরিষ্কার নয়, বলতে পারলেন না বিক্ষোভকারী অভিভাবকরাও। এমনকি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করল না স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরাও। কেবল একটি মৌখিক অভিযোগ ঘিরে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল আসানসোলের একটি স্কুলে। অভিযোগ কে করেছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। তবে অভিযুক্ত ওই স্কুলেরই এক অশিক্ষক কর্মী। আর তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন অভিভাবকরা।
বিষয়টি ঠিক কী?
অভিভাবকদের দাবি, ঘটনাটি গত ১৯ তারিখের। অভিযোগ ওঠে, স্কুলের ভিতরেই এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেন অশিক্ষক কর্মী। কিন্তু কার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে, তার বাবা-মা কে? তা বলতে পারছিলেন না অভিভাবকরা। কিন্তু তাঁরা স্কুলে কিংবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। এমনকি সামনে আসেননি মূল অভিযোগকারীও। অথচ, সেই ইস্যুতে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল স্কুলে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্কুল গেটে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। অভিভাবকরা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ সেফ কাস্টডি হিসাবে কোনও মতে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে অভিভাবকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।
কিন্তু পুলিশের কাছে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বা স্কুলের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও যায়নি। স্কুলের বাইরে আসানসোল জিডি রোড অবরোধ করেছেন। প্রধান শিক্ষিকাও জানিয়েছেন, অভিভাবকদের তরফ থেকে স্কুলে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।