TMC Agitation: আর্থিকভাবে দুর্বলের শংসাপত্র নিতেও টাকা? বিএলআরও অফিসে তৃণমূলের বিক্ষোভ
Bankura: রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বা বিএলআরও অফিসের পরিষেবা নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ সামনে আসে। সামান্য একটু কাজ করাতে জুতোর সুকতলা খয়ে যাওয়ার অবস্থা হয় বলে অভিযোগ।
বাঁকুড়া: ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে (BLRO) টাকা ছাড়া কোনও পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠল। সেই অভিযোগকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিএলআরও অফিসের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ইন্দপুর ব্লকের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতিও। তাঁদের অভিযোগ, বিএলআরও অফিসের কর্মীদের একাংশ যে কোনও পরিষেবা দেওয়ার বদলে হাত পেতে দেন। এমনকী টাকা হাতে না দিলে মেলে না আর্থিকভাবে দুর্বলদের বা ইডব্লুএস (Economically Weaker Section) শংসাপত্রও। এদিন বিএলআরও অফিসের দরজায় তালাও লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও বিএলআরও জানান, তালা লাগানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বলা হয়েছে সমস্ত অভিযোগ লিখিত আকারে জানাতে। একই বক্তব্য বিডিওরও।
রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বা বিএলআরও অফিসের পরিষেবা নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ সামনে আসে। সামান্য একটু কাজ করাতে জুতোর সুকতলা খয়ে যাওয়ার অবস্থা হয় বলে অভিযোগ। এরকমই অভিযোগ ইন্দপুর ব্লকেও। তৃণমূলের দাবি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন দুর্নীতির কাণ্ডারী। টাকা না দিলে কাজ করতে চান না। একটা কাজের জন্য মাসের পর মাস অফিসে এসে হত্যে দিতে হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আরও অভিযোগ, টাকা নেয় এই সরকারি কর্মীরা, অথচ চোর অপবাদ তাঁদের কপালে জোটে। এরপরই এদিন সকলে এককাট্টা হয়ে বিএলআরও অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান।
এ নিয়ে ইন্দপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি রেজাউল খাঁয়ের বক্তব্য, “আমরা আজ প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হয়েছি। যে কোনও কাজের জন্য ঘোরানো হচ্ছে। পয়সা না দিলে কাজ হচ্ছে না। বারবার বলেছি কাজ হয়নি। তাই ২১ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ৭ জন প্রধান-উপপ্রধান একসঙ্গে এসে তালা মেরে দিয়েছি এই অফিসে।” ইডব্লুএস সার্টিফিকেট নিতে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা শানু সিং। তাঁর অভিযোগ, এই অফিসে একটা পরিষেবা পেতে গেলে বারবার ঘুরতে হয়। রোজই বলে এটা ভুল আছে, ওটা ভুল আছে।
এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে ইন্দপুরের বিএলআরও শুভেন্দুশেখর ঘোষ বলেন, “ভোটে যাঁরা নতুন জিতেছেন, তাঁরা এসেছিলেন। তাঁদের কিছু অভিযোগ ছিল, শুনেছি। তবে তালা ঠিক মারেননি। দরজা আটকে দিয়ে বলতে চাইছিলেন, তাঁরা যেভাবে বলছেন সেভাবেই যেন কাজ করা হয়। বলেছি, অভিযোগ থাকলে লিখিত জানাতে। তখন ব্যবস্থা নেব। আমি এখানে কাজ করতেই এসেছি।”
অন্যদিকে ইন্দপুরের বিডিও সৌমেন দাসের বক্তব্য, “ওনারা অনেক কিছুই বলেছেন। আমিও ওনাদের বলেছি, যা বক্তব্য লিখিতভাবে দিতে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। আমরা বিএলআরও অফিসারকে বলেছি, সব কাজ এখানে স্বচ্ছতার সঙ্গে যেন হয়। মানুষ যেন সমস্ত পরিষেবা সঠিক পদ্ধতি মেনে, সঠিক সময়ে পান।” যদিও তৃণমূলের এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দলীয় কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছেন বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস লায়েক। তাঁর দাবি, আগে এক গোষ্ঠী ছিল। এখন নতুন গোষ্ঠী এসেছে। তাতেই এত ক্ষোভ-বিক্ষোভ।