Bishnupur Municipality: চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল, বিষ্ণপুর যেতে যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে লাগবে না প্রবেশ কর

Bishnupur Municipality: বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে কোনও প্রবেশকর নেওয়া হবে না। তবে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে ঘোষণা মতোই নেওয়া হবে প্রবেশকর।

Bishnupur Municipality: চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল, বিষ্ণপুর যেতে যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে লাগবে না প্রবেশ কর
বিষ্ণুপুর পুরসভাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2023 | 1:31 PM

বাঁকুড়া: অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল বিষ্ণপুর পৌরসভার। আন্দোলনের মুখে পড়ে যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রবেশকরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বিষ্ণুপুর পৌরসভার। তবে লাগু থাকছে পণ্যবাহী গাড়ির ক্ষেত্র।

প্রবল আন্দোলন ও বিরোধীতার মুখে পড়ে প্রবেশ করের সিদ্ধান্ত রদবদল করতে বাধ্য হল পৌরসভা। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে কোনও প্রবেশকর নেওয়া হবে না। তবে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে ঘোষণা মতোই নেওয়া হবে প্রবেশকর।

সম্প্রতি, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌরসভা সিদ্ধান্ত নেয় বিষ্ণুপুর শহরে প্রবেশের ক্ষেত্রে যাত্রীবাহী হোক বা পণ্যবাহী গাড়ি সবক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট হারে প্রবেশ কর দিতে হবে পৌরসভাকে। ছোট চার চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে ৩০ টাকা, ট্রাক্টর ও মাঝারি গাড়ির ক্ষেত্রে ৫০ টাকা এবং বাস সহ বড় গাড়ির ক্ষেত্রে ১০০ টাকা প্রবেশ কর ধার্য করা হয়।  সিদ্ধান্ত হয় একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ১ অগস্ট থেকেই এই কর সংগ্রহ করবে বিষ্ণুপুর পৌরসভা।

বিষয়টি জানাজানি হতেই বিষ্ণুপুর জুড়ে আছড়ে পড়ে আন্দোলনের ঢেউ। প্রতিবাদে সরব হন বিষ্ণুপুর শহরের মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রাস্তায় নেমে শুরু হয় আন্দোলনও। আর সেই আন্দোলনের জেরে অবশেষে সিদ্ধান্ত বদলে বাধ্য হয় বিষ্ণুপুর পৌরসভা।

সোমবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্ট করে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ জানান, “সাধারণের দাবি মেনে পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করে যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে প্রবেশ কর আদায়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হল। তবে পণ্যবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রবেশকর কার্যকর থাকছে।” পূর্বঘোষণা মতো আজ সকাল থেকে বিষ্ণুপুর শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে শুরু হয়েছে প্রবেশ কর আদায়। চাপের মুখে হলেও পৌরসভা শেষ পর্যন্ত যাত্রীবাহী গাড়ির প্রবেশকরের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বদল করায় খুশি শহরের মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব।