Jadavpur University Student Death: ‘অন্যায় করলে আমার ছেলেও শাস্তি পাক, আমিও একজন বাবা’, যাদবপুর-কাণ্ডে বললেন ধৃতের বাবা
Jadavpur University: সৌরভের গ্রেফতারির পর তাঁর বাবা-মা কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, মা-কে ফোন করে তিনি জানিয়েছিলেন সৌরভ নির্দোষ। তিনি কারোর র্যাগিং করেননি। ছেলের গ্রেফতারি মেনেই নিতে পারেননি পরিবার।
কলকাতা: যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সৌরভ চৌধুরী গ্রেফতার হয়েছেন আগেই। এরপর রবিবার ভোররাতে গ্রেফতার হন আরও দুই পড়ুয়া। একজন দীপশেখর দত্ত (১৯) ও মনোতোষ ঘোষ (২০)। দুই অভিযুক্তের পরিবারের কাছে ইতিমধ্যেই সেই খবর পৌঁছে গিয়েছে। তবে দীপশেখরের বাবা-মা চাইছেন ছেলে যদি দোষ করে থাকে তবে তাঁর শাস্তি পাওয়া উচিত।
সৌরভের গ্রেফতারির পর তাঁর বাবা-মা কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, মা-কে ফোন করে তিনি জানিয়েছিলেন সৌরভ নির্দোষ। তিনি কারোর র্যাগিং করেননি। ছেলের গ্রেফআমিতারি মেনেই নিতে পারেননি পরিবার। তবে দীপশেখরের মা-বাবা চাইছেন দোষীদের শাস্তি তা সে যদি নিজের ছেলেও হয় না কেন!
দীপশেখরের বাবা মধুসূদন দত্ত বলেন, “র্যাগিংয়ের ব্যাপারে ছেলে কোনওদিন বলেনি। কিন্তু ছেলের চেহারা দেখে বোঝা যেত র্যাগিং হয়েছিল। তবে এই সবের জন্য সম্পূর্ণ দায়ি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওরা জেনে শুনেও কোনও পদক্ষেপ করেনি। প্রকৃত দোষী শাস্তি পাক। আমার ছেলে হলেও সে শাস্তি পাক। আজ যদি আমার ছেলের সঙ্গেও এই একই কাজ হত, তাহলে আমিও চাইতাম দোষীদের যেন শাস্তি হয়।”
অপরদিকে, দীপশেখরের মা সঙ্গীতা দত্ত বলেন, “আমি চাই সঠিক তদন্ত হোক। দোষীরা যেন শাস্তি পায়। একটা মায়ের বুক থেকে ছেলে চলে গিয়েছে। তার কী কষ্ট আমরা বুঝি। আর যেন এই জিনিস না হয়। আর র্যাগিং তো যাদবপুরে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে।” সঙ্গীতা দেবী আরও বলেছেন, ঘটনার দিন দীপশেখর তাঁকে ফোনে জানিয়েছিলেন যে স্বপ্নদীপকে র্যাগিং করা হয়েছে। পুলিশের কাছে লিখিত একটি অভিযোগ জানাবেন বলেও ঠিক করেছিলেন তাঁর ছেলে। সঙ্গীতা দত্ত বলেন, “আমি ওকে বললাম এই সব আইনি ঝামেলায় না জড়াতে। এখন পুলিশই ওকে ফাঁসিয়ে দিল।”
উল্লেখ্য, ধৃত দীপশেখর দত্তর বাড়ি বাঁকুড়ায়। বাবা মধুসূদন দত্তর জমি-জায়গার কারবার রয়েছে। মা গৃহবধূ। বাঁকুড়ারই বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা দীপশেখরের। উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর অর্থনীতি নিয়ে দ্বিতীয়বর্ষে ভর্তি হন তিনি।
গত বুধবার (৯ অগস্ট) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। ‘সিনিয়র দাদাদের’ র্যাগিংয়ের বলি হতে হয়েছে তাঁকে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।