Pregnant woman death: প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতেই মৃত্যু, সাত ঘণ্টা দেখা মেলেনি চিকিৎসকের!

Pregnant woman death: হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রায় সাত ঘণ্টা কেটে গেলেও কোনও চিকিৎসক ওই মহিলাকে পর্যবেক্ষণ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

Pregnant woman death: প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতেই মৃত্যু, সাত ঘণ্টা দেখা মেলেনি চিকিৎসকের!
বিক্ষোভ দেখান পরিজনেরাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2023 | 7:41 PM

রামপুরহাট: ভোর রাত থেকেই প্রবল প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো গেল না প্রসূতিকে। অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছিল ওই মহিলাকে। ভোর থেকে বেলা গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখতে যাননি বলে অভিযোগ। বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনা। মৃতার নাম সায়েদা খাতুন। সোমবার দুপুর ১ টায় ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। পুরো ঘটনায় হাসপাতালে বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে মৃতার পরিবার। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রায় সাত ঘণ্টা কেটে গেলেও কোনও চিকিৎসক ওই মহিলাকে পর্যবেক্ষণ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। সায়েদা খাতুন নামে ওই মহিলার বাড়ি বীরভূমের মুরারই থানার বাজিতপুর গ্রামে। তাঁর দাদা সাদ্দাম শেখ জানিয়েছেন, ভোর থেকে যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় প্রথমে মুরারইতেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখানকার চিকিৎসক রেফার করলে ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাটের সরকারি হাসপাতালে।

সাদ্দাম শেখ আরও জানান, সকাল থেকে কোনও চিকিৎসকই দেখতে যাননি তাঁর বোনকে। পরে সকাল ১০ টার পর জানানো হয়, পেটের স্ক্যান করতে হবে, তারপরই শুরু হবে চিকিৎসা। সেখানেও হয়রানি হয় বলে অভিযোগ। মাঝে শুরু একটা রক্ত পরীক্ষা হয়েছিল, যার রিপোর্ট পায়নি পরিবার। ক্রমে নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকেন সায়েদা। সাদ্দাম জানান, তাঁর বোন কিছু খেতে পারছিলেন না, কথাও বলতে পারছিলেন না। এরপর দুপুর ১ টা নাগাদ সায়েদার মৃত্যু হয়।

মৃতার দাদার অভিযোগ, চিকিৎসা না হওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বোনের। প্রসূতির মৃত্যুর পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিজনেরা। হাসপাতালের সুপারের ঘরে গিয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর কারণ জানার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।