Siuri Municipality: সিউড়ির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রণব করের, ছাড়লেন কাউন্সিলর পদও
Birbhum: গত পুরভোটের পর সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসেন প্রণব কর। সে সময় অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন স্বমহিমায় বীরভূমের নিয়ামক। সিউড়ি পুরসভায় ২১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে সিংহভাগই প্রণবের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থাও আনার কথা ছিল বলে সূত্রের খবর।
বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডলের গড়েই তৃণমূলে কি এবার বড়সড় বদলের সম্ভাবনা? সিউড়ি পুরসভার পুরপ্রধান প্রণব করের পদত্যাগ উস্কে দিল সে জল্পনাই। সোমবার পুরসভায় এসে পদত্যাগ করেন প্রণব। শুধু চেয়ারম্যান পদ থেকেই নয়, কাউন্সিলর পদও ছাড়লেন তিনি। এই প্রণব কর অনুব্রতর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। প্রণব কর নিজেই বলেছিলেন, অনুব্রত তাঁকে সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, কাউন্সিলরদের এই চেয়ারম্যান প্রথম থেকেই নাপসন্দ ছিল। তবে দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রতর ‘ভয়ে’ প্রথমে কেউ কিছু বলেননি। কেষ্ট গ্রেফতার হতেই প্রকাশ্যে সরব হন তাঁরা। সেই চাপেই এই পদত্যাগ বলে দাবি সূত্রের। যদিও প্রণব কর বলছেন, পারিবারিক ও শারীরিক কারণে পদ ছাড়লেন তিনি। কিন্তু কাউন্সিলর পদও কেন ছাড়তে হল? প্রণবের দাবি, শরীরের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত।
গত পুরভোটের পর সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসেন প্রণব কর। সে সময় অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন স্বমহিমায় বীরভূমের নিয়ামক। সিউড়ি পুরসভায় ২১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে সিংহভাগই প্রণবের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থাও আনার কথা ছিল বলে সূত্রের খবর। যদিও সে সময় রাজ্যস্তরের এক শীর্ষনেতার হস্তক্ষেপে বিষয়টি ঠেকিয়ে রাখা হয়। তবে ভোটের ফল বেরোতেই এবার আর নীরব থাকতে নারাজ কাউন্সিলররা। সূত্রের খবর, সে কারণেই দল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন প্রণবকে। যদিও প্রণব করের দাবি, দল তাঁকে এরকম কিছুই জানায়নি। যা সিদ্ধান্ত, সবটাই তিনি নিজে নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রণব কর আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মী। দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে যুক্ত। ব্যক্তিগত জীবনেও খুব ভালভাবে কাজ করেছেন। পুরসভাতেও একইভাবে কাজ করেছেন। উনি রাজনীতির লোক। জানি না রাজনীতি ছেড়ে থাকতে পারবেন কি না। তবে আমরা আশা করব উনি রাজনীতির সঙ্গেই থাকুন। আমরা তো দল করি, নির্দল নই। দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা। দলের সিদ্ধান্ত মেনে ওনাকে যদি পদত্যাগ করতে হয়ে থাকে তাহলে সেটা তো সৈনিক হিসাবে মেনে নিতেই হবে। আমরা অনুরোধ করব দয়া করে দল না ছাড়েন।” দল ছাড়ার প্রসঙ্গে প্রণব করকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর জবাব, “দলে থাকব কি না পরের ব্যাপার। দল করব কি করব না পরে সিদ্ধান্ত নেব। “