Coochbehar: TMCP-র গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তেজনা শীতলকুচি কলেজে, বাঁশ দিয়ে মারধর, জেলা সভাপতিকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান

TMCP Clash: হাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ঝান্ডা। কাঁধে মোটা বাঁশের লাঠির মধ্যে পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেছিলেন ওই যুবকরা। তা নিয়েই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অপর এক পক্ষের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। ঘটনা ক্রমেই হাতাহাতি এবং পরে বাঁশ দিয়ে পেটানোর পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

Coochbehar: TMCP-র গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তেজনা শীতলকুচি কলেজে, বাঁশ দিয়ে মারধর, জেলা সভাপতিকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2023 | 11:43 PM

শীতলকুচি: সামনেই ২৮ অগস্ট। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আর তার আগেই ফের একবার বেআব্রু তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের গোষ্ঠীকোন্দল। আর তা নিয়েই সোমবার দুপুরে তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের শীতলকুচি কলেজ চত্বর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অনির্বাণ সরকার এদিন কলেজে ঢোকার সময় গো ব্যাক স্লোগান তুলতে থাকেন কিছু যুবক। হাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ঝান্ডা। কাঁধে মোটা বাঁশের লাঠির মধ্যে পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেছিলেন ওই যুবকরা। তা নিয়েই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অপর এক পক্ষের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। ঘটনা ক্রমেই হাতাহাতি এবং পরে বাঁশ দিয়ে পেটানোর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দু’পক্ষের গোলমালের মধ্যে দুইজন যুবক আহত হয়েছেন। আহতদের নাম মমিনুর ইসলাম ও খাদিমুল হক।

জানা যাচ্ছে, এদিন শীতলকুচি কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২৮ অগস্টের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। সেই সূত্র ধরেই কলেজে এসেছিলেন শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতি। তিনি কলেজে ঢোকার সময়েই গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ একাংশ। সেই স্লোগানকে গুরুত্ব না দিয়েই তিনি ভিতরে ঢুকে যান। পরে বৈঠক শেষে বেরনোর সময় আবার গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। আর সেই সময়েই ভয়ঙ্কর চেহারা নেয় কলেজ চত্বর। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা ও মারধর হয়। খবর যায় শীতলকুচি থানাতেও। ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশকর্মীরা দ্রুত কলেজ চত্বরে পৌঁছে যান। গোলমালের ঘটনায় পাঁচজনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। কী থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ তুলতে থাকেন, সংগঠনের ইউনিট প্রেসিডেন্টকে অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে। আর এই নিয়েই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি। তিনি বলছেন, ‘এরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ নয়। এরা বহিরাগত দুষ্কৃতী। এই ঘটনার পিছনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি… আগামী দিনে আপনাদের জন্য অনেক কঠিন দিন অপেক্ষা করছে।’ একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘আমার বিরুদ্ধে যদি কেউ এক পয়সার প্রমাণ দিতে পারে, আমি জেলা সভাপতির পদ ছেড়ে দেব।’ এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট নিয়ে একটি গোলমাল যে চলছে, তা মেনে নিচ্ছেন কলেজের অধ্যক্ষও।