Cooch Behar: নির্যাতিতার দেহ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, মৃতদেহ হাইজ্যাক করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
Cooch Behar: নির্যাতিতার বাবাকে নিয়ে শুরু হয় দড়ি টানাটানি। তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।
কোচবিহার: নির্যাতিতার মৃতদেহ নিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় তুলকালাম কাণ্ড বেধে যায় কোচবিহার এন জে এন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একদিকে তৃণমূল স্লোগান দিতে থাকে অপরদিকে বিজেপি তরফে মৃতদেহ হাইজ্যাক করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য জেলার রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে কোচবিহারের খাপাইডাঙায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে দুদিন ধরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এলাকার ৫ যুবকের বিরুদ্ধে। ভর্তি করা হয়েছিল এলাকার একটি হাসপাতালে। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন সকালেই সেখানে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে ওই কিশোরী। মঙ্গলবারই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
- এদিকে সকালে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ কোচবিহার মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। সূত্রের খবর, সেখানে কে যাবে তা নিয়ে তৈরি হয় চাপানউতর। বাবা যাবে নাকি অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মীরা যাবে এটা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে যায়।
- হাসপাতালের সামনে বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মঘ্যে শুরু হয় তীব্র বাদানুবাদ। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা নির্যাতিতার বাবাকে আগলে রাখলেও তাঁদের সরিয়ে ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা করে তৃণমূল।
- বাবাকে নিয়ে শুরু হয় দড়ি টানাটানি। তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। পথ অবরোধ শুরু করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। বিজেপির দাবি, নির্যাতিতার পরিবার তাঁদের দলের সমর্থক।
- এদিকে অশান্তির আবহে একটি গাড়ি করে নির্য়াতিতার বাবাকে নিয়ে চলে যায় পুলিশ। ABVP-র নেতাদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়।