Sukanta Majumdar: প্রথমবার বাড়ির পাশের পঞ্চায়েতে জয়, বিজয় মিছিল থেকেই অভিযোগ তুললেন সুকান্ত
Sukanta Majumdar: বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল মোট ২২ টি আসন। ১১ টিতে জয়ী হয় বিজেপি ও ১১টিতে তৃণমূল। পরে বোর্ড গঠনের ভোটাভুটির সময় তৃণমূলের একটি ভোট বাতিল হয়ে যায়।
বালুরঘাট: এই প্রথমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বাড়ির পাশের গ্রাম পঞ্চায়েত গেল বিজেপির দখলে। প্রধান ও উপ প্রধান উভয়েই বিজেপি থেকে নির্বাচিত। সেই আনন্দেই বৃহস্পতিবার বিজয় মিছিলে যোগ দিলেন সুকান্ত। বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, বিজেপি আরও বেশি আসনে জয়ী হলেও চক্রান্ত করে সেই আসন সংখ্যা কমিয়ে দেয় তৃণমূল।
ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খিদিরপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে বিজয় মিছিল বের করা হয়েছিল। সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও সেই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলিমা বর্মণ, উপ-প্রধান শিবু সরকার সহ অন্যান্য বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। খিদিরপুর শিব মন্দির চত্বর থেকে বেরোয় সেই বিজয় মিছিল। পুরো এলাকা ঘুরে ফের খিদিরপুর পৌঁছয় মিছিল।
বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল মোট ২২ টি আসন। ১১ টিতে জয়ী হয় বিজেপি ও ১১টিতে তৃণমূল। পরে বোর্ড গঠনের ভোটাভুটির সময় তৃণমূলের একটি ভোট বাতিল হয়ে যায়। এরপরই পঞ্চায়েত চলে আসে বিজেপির দখলে। এর আগে কখনও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিতে পারেনি বিজেপি।
মিছিল থেকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা বহু কষ্ট করে এই পঞ্চায়েতে জিতেছি, তাই আনন্দটা অনেক বেশি। আমাদের ১৪-১৫ জন প্রার্থী জিতেছিলেন। কিন্তু গণনার সময় কারচুপি করে তৃণমূল প্রার্থীদের জিতিয়ে দেওয়া হয়। সংখ্যাটা হয়ে যায় ১১-১১।” বালুরঘাটের বিডিও-র সঙ্গে বসে তৃণমূল এই কারচুপি করেছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বিডিও-র উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুনে রাখুন, আপনি ছাড় পাবেন না।’ তবে এই জয়ে এলাকার বিজেপি কর্মীরা উৎসাহিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।