Bridge Collapsed: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বানানো হয়েছিল সেতু, ভেঙে পড়ল দু’মাসেই
Bridge Collapsed: পঞ্চায়েত ভোটের কিছুদিন আগেই চারটি হিউমপাইপ বসিয়ে তার ওপর ঢালাই দিয়ে বানানো হয়েছিল ওই ব্রিজ। খরচ হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
বংশীহারী: দু মাস আগেই তৈরি হয়েছিল সেতু। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার কথা ভেবে এটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেই ব্রিজ। কতটা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ওই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। এই ঘটনায় বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত বলেও মনে করছেন তাঁরা। তবে ব্রিজ ভাঙার সময় আশপাশে কেউ ছিলেন না। ব্লক প্রশাসনের তরফে বিষয়টিতে নজর দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী ব্লকের মহাবাড়ি পঞ্চায়েতের উত্তর শ্যামপুরে ছিল এই ব্রিজ। দুই গ্রামের মধ্যে এটাই ছিল সংযোগের মাধ্যম। কিছুদিন আগে পর্যন্তও বাঁশের সাঁকো বানিয়ে তার ওপর দিয়েই যাতায়াত করতেন এলাকার মানুষজন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হত তাঁদের। একাধিকবার প্রশাসনের তরফ থেকে সেতু তৈরির দাবি জানানো হয়েছিল। এরপর মাস দুয়েক আগে ঢালাই দিয়ে ব্রিজ তৈরি করা হয়।
পঞ্চায়েত ভোটের কিছুদিন আগেই চারটি হিউমপাইপ বসিয়ে তার ওপর ঢালাই দিয়ে বানানো হয়েছিল ওই ব্রিজ। খরচ হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। ভোট শেষ হয়েছে মাস খানেক আগে। তারপরই ভেঙে পড়ল সেই ব্রিজ। আবারও ভাঙা জায়গায় বাঁশের সেতু তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অভিরাম সরকার বলেন, ‘১৫ বছর ধরে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে আমরা যাতায়াত করেছি। নতুন ব্রিজ যে এভাবে ভেঙে পড়বে, তা ভাবতে পারিনি। এটা স্পষ্ট যে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল, তাই একটু বৃষ্টির জল বাড়তেই ভেঙে পড়েছে সেটি।’
এই প্রসঙ্গে বংশীহারীর বিডিও সুব্রত বাউল বলেন, ‘পঞ্চায়েত থেকে ব্রিজটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। বৃষ্টির জলে ভেঙে পড়েছে। খুব শীঘ্রই বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।’