Siliguri: পরিত্যক্ত ঘরে নাবালিকার থেঁতলানো মাথা, পাশে রাখা স্কুল ব্যাগ; বীভৎস ঘটনা মাটিগাড়ায়
Siliguri: এলাকার লোকজন জানান, যেখানে ওই ছাত্রীকে পাওয়া গিয়েছে, সাধারণত সেখানে লোকজন যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সিরাজের কথায়, এদিন বিকেলে মেয়েটির চিৎকার শুনতে পান তিনি। এরপরই এলাকার লোকজন জড়ো করে সেখানে যান।
শিলিগুড়ি: নাবালিকার থেঁতলানো দেহ উদ্ধার পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে। তাও আবার জঙ্গলের ভিতরে। সোমবার মাটিগাড়া থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অনুমান, ইট দিয়ে মেরে ওই নাবালিকার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ। সোমবার ওই স্কুল ছাত্রীকে খুনের ঘটনা সামনে আসে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এক স্কুল ছাত্রের সঙ্গে ওই ছাত্রীকে দেখা গিয়েছিল শেষবার। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছাত্রকে শনাক্ত করা হয়। রাতেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল তখন প্রায় ৪টে। ওই ছাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখে কয়েকজন। এরপরই খবর জানাজানি হতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীকে যখন উদ্ধার করা হয়, তার দেহের পাশেই পড়েছিল স্কুল ব্যাগটি। একটি ইটও রাখা ছিল ঘটনাস্থলে। দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
এলাকার লোকজন জানান, যেখানে ওই ছাত্রীকে পাওয়া গিয়েছে, সাধারণত সেখানে লোকজন যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সিরাজের কথায়, এদিন বিকেলে মেয়েটির চিৎকার শুনতে পান তিনি। এরপরই এলাকার লোকজন জড়ো করে সেখানে যান। সেখানে ওই ছাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখলেও সঙ্গে কাউকে দেখেননি বলেই জানান তিনি। ছাত্রীর পরণে যে স্কুল ড্রেস ছিল, তার সূত্র ধরেই পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। কীভাবে ওই ছাত্রী সেখানে পৌঁছল, কেনই বা সেখানে গিয়েছিল সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমি ধূপগুড়ি থেকে ফিরছিলাম। রাস্তায় খবর পাই একটি বাচ্চা মেয়েকে থেঁতলে মারা হয়েছে। একটি জঙ্গলে পরিত্যক্ত ঘরে মৃতদেহ পাওয়া যায়। স্কুলের পোশাক পরা ছিল। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কোনও স্কুলে পড়ত বলেই শুনেছি। এরকম শিলিগুড়ি আমি দেখিনি। এর আগে এক মহিলাকে ঘরের মধ্যে খুন করা হল। এরপরই এই ঘটনা। শিলিগুড়ির পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।”