Talk To Mayor: ‘বেকার ভোটটা দিয়েছিলাম’, টক টু মেয়রে ফোন করে খেদোক্তি ব্যক্তির
Siliguri: কলকাতা পুরনিগমের ধাঁচে টক টু মেয়র অনুষ্ঠান হয় শিলিগুড়িতেও। এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হল, সরাসরি ফোনে মেয়রের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান এলাকার লোকজন। নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন মেয়রের কাছে।
শিলিগুড়ি: ‘টক টু মেয়র’-এ বসেছিলেন শিলিগুড়ির মহানাগরিক গৌতম দেব (Gautam Deb)। লাগাতার ফোন আসছিল।এরইমধ্যে এক পুরবাসী ফোন করে এলাকায় রাস্তা না হওয়ার অভিযোগ তোলেন। এরপরই মেয়রকে সটান বলে ফেলেন, ভোট দেওয়াটাই ভুল হয়েছে। এই খবর সামনে আসতেই শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
কী ঘটেছিল? কলকাতা পুরনিগমের ধাঁচে টক টু মেয়র অনুষ্ঠান হয় শিলিগুড়িতেও। এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হল, সরাসরি ফোনে মেয়রের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান এলাকার লোকজন। নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন মেয়রের কাছে। সেই অনুষ্ঠান চলাকালীনই ফোন করেন সমীর আঢ্য নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে দাবি করেন। খাইখাই বাজার সংলগ্ন এলাকায় থাকেন।
মেয়রকে সমীরবাবু বলেন, “গত ৪-৫ বছর ধরে এই রাস্তা বানানো হচ্ছে না। আপনি ভোটের আগে প্রচারে এসে বলেছিলেন এই রাস্তা বানানো হবে। অথচ তা হল না। এখন তো মনে হচ্ছে বেকার ভোটটা দিয়েছিলাম।” ছাড়ার পাত্র নন মেয়র গৌতম দেবও। তিনি পাল্টা বলেন, এলাকার বিধায়ক, সাংসদকে সমস্যা জানিয়েছেন? এরপর আরও সুর চড়ান ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি। বলেন, “আমরা তো পুরনিগমের এলাকায় থাকি।” জবাবে গৌতম দেব বলেন, “বিধায়ক, সাংসদও তো পুরএলাকাতেই থাকেন।” সমীর আঢ্য বলেন, “কর্পোরেশন এলাকায় থেকেও তো কোনও উপকার হচ্ছে না। জল জমে থাকে, রাস্তা ঠিক হচ্ছে না।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, “যিনি বলছেন ভোট দিয়ে ভুল করেছেন, তিনি আসলে শিলিগুড়িবাসীর মনের কথা বলে ফেলেছেন। মেয়র সাহেব ভোটের আগে প্রচুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেসব রাখতে পারছেন না বলে এখন মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন। পাড়ার রাস্তা তৈরি করার জন্য সাংসদ, বিধায়কের কাছে যেতে বলছেন। তাঁরাই যদি করেন তাহলে আর কর্পোরেশনের দরকার কী? নাকি মেয়র সাহেব চাইছেন, সাংসদ, বিধায়ক পাড়ার রাস্তা তৈরি করবেন। আর কর্পোরেশন জাতীয় সড়ক বানাবে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি না দিয়ে আসল কথাটা বললেই তো পারেন।”