North Bengal University: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বদল, নতুন অস্থায়ী দায়িত্বে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়
Vice Chancellor: রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে যে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে নতুন উপাচার্য নিয়োগ স্বাভাবিকভাবেই বেশ বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
শিলিগুড়ি: উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজভবন সংঘাতের মধ্যেই ফের বড় পদক্ষেপ। বদল করা হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়। দু’মাস আগেই তাঁর নিয়োগ হয়েছিল। তবে এবার অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দিলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে যে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে নতুন উপাচার্য নিয়োগ স্বাভাবিকভাবেই বেশ বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে নিয়োগ করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। রাজ্যের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (MAKAUT)-এও অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে উপাচার্য করা হয়েছে। আর এসবের মধ্যেই এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন উপাচার্য নিয়োগ করল রাজভবন। সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয় রথীন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। পরবর্তী নির্দেশিকা না যাওয়া পর্যন্ত তিনিই উপাচার্যের ভূমিকা পালন করবেন। এদিকে অপর একটি বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বসানো হয়েছে দেবব্রত মিত্রকে।
প্রসঙ্গত, নতুন দায়িত্ব পাওয়া রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, তিনি ২০০২ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। আগামী দিনে নতুন দায়িত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করবেন তিনি। নতুন দায়িত্বে তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সহকর্মীদের একসঙ্গে নিয়ে এগোতে চান, সেই কথাও বলেছেন। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পাওয়া দেবব্রতবাবু বলছেন, নতুন তৈরি হওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভূমিকা পালন করা তাঁর কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে আচার্য যে তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন এই চ্যালেঞ্জিং কাজের জন্য, তাতে তিনি বেশ খুশি। নিজের যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য, সে কথাও জানিয়েছেন দেবব্রতবাবু।