BJP Leader: ১৩ জন বিজেপি নেতা গ্রেফতার, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ
Hooghly: খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ছিল সোমবার। সেই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি হয় শাসক-বিজেপির। এর জেরে এলাকায় শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়। অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সে সময় পুলিশ লাঠি চালায়।
হুগলি: ১৩ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠল খানাকুল থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, পুলিশের কাজে বাধাদান, তাদের হেনস্থা করা, আইনশৃঙ্খলা ভাঙার মতো অভিযোগও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির দাবি, এসব মিথ্যা কথা। তৃণমূল বোর্ড গঠন করতে পারেনি। সেই রাগেই পুলিশকে ব্যবহার করে এই ধরনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ছিল সোমবার। সেই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি হয় শাসক-বিজেপির। এর জেরে এলাকায় শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়। অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সে সময় পুলিশ লাঠি চালায়। এরপরই পাল্টা বিজেপি কর্মীরা পুলিশের উপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, এমনকী পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগও ওঠে। সেই ঘটনায় মঙ্গলবার ভোরে ১৩ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আজই তাঁদের আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
এ নিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “আসলে ২ নম্বরে আমরা বোর্ড গঠন করে ফেলেছি বলেই ওদের গাত্রদাহ। অনেকভাবে আটকানোর চেষ্টা করেছিল, পারেনি। এখন বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলা দেওয়া ছাড়া আর তো কিছু করারও নেই।”
বিমান ঘোষের দাবি, কোনও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়নি। পুলিশের গাড়ি ছিলই না ওখানে। পুলিশ ফুটেজ দেখাক, চ্যালেঞ্জ বিধায়কের। বিমানের কথায়, “আসলে উপর থেকে অর্ডার এসেছে ওরা বোর্ড গড়েছে এবার গ্রেফতার করতে হবে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়বে।” যদিও এ নিয়ে তৃণমূলের কারও কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। পেলে তা যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে।