Hooghly Accident: দুটো লরির মাঝে পড়ে যায় বাইক, মেয়েকে নিয়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা বাবার
Hooghly Accident: দু'জনকেই কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকার কারণে কালীপুর মোড় সবসময়েই ভিড় থাকে। যান নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকে না।
হুগলি: বেহালার পর এবার হুগলি। আবারও দুর্ঘটনার কবলে স্কুল পড়ুয়া। এবারও বেপরোয়া লরির ধাক্কা। দুটো লরির মাঝে পড়ে যায় বাবা-ছেলে। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা এবার হুগলির ডানকুনিতে। ডানকুনির কালীপুর শ্রীরামকৃষ্ণ শিশু তীর্থ স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ও তার বাবা দেবাশিস বেরার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সাড়ে দশটা নাগাদ কালীপুর শ্রীরামকৃষ্ণ শিশু তীর্থ স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে বাইকে চণ্ডীতলায় গরলগাছার বাড়িতে ফিরছিলেন বাবা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কালীপুর মোড়ে দুটি লরির মাঝে পড়ে যায় বাইকটি।
দুর্ঘটনার পর ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বাবা- মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। ছাত্রীটি সুস্থ থাকলেও তার বাবা দেবাশিসের আঘাত গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দু’জনকেই কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকার কারণে কালীপুর মোড় সবসময়েই ভিড় থাকে। যান নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকে না। ওই এলাকায় এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্কুল ছাত্রীর দুর্ঘটনার এক ঘণ্টা পরই আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে ওই একই জায়গায়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি প্রাইভেট গাড়িও। এ বিষয়ে হুগলি জেলা পূর্ত ও পরিবহন দফতরের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, দুর্ঘটনার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছাত্রীটি সুস্থ রয়েছে, তবে বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রাফিফ ব্যবস্থা যথেষ্ট আছে। তবে কালীপুর মোড়ের মাটির অবস্থা খুব একটা ভাল না হওয়ার কারণে বার বার মেরামত করার পরও ওই এলাকাটি ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকে। তবে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঠিক গত শুক্রবার ভোরেই বেহালার চৌরাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সৌরনীল সরকারের। গোটা বাংলাকে এই দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর বাবা এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারমধ্যে এদিন সকালে হরিদেবপুরেও দুর্ঘটনায় আহত হয় দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়া।