Furfura Chaos: ‘ফুরফুরাকে সম্মান করি, নওশাদরা পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন’, গোলমালের পর বলছেন পুলিশ সুপার
Nawsad Siddiqui: বৃহস্পতিবার ফুরফুরার গন্ডগোল নিয়ে মুখ খুলেছেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপও। জানালেন, 'আমরা ফুরফুরাকে খুব সম্মান করি। আজ ফুরফুরা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। আমরা চেয়েছিলাম, যাতে ভালভাবে সব কিছু হয়।'
ফুরফুরা: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে সকাল থেকে তপ্ত ফুরফুরা। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামে পুলিশ। ক্যাদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। আর এসবের মধ্যে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর বাড়িতে ইট ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নওশাদের অভিযোগ, এক পুলিশকর্মীই তাঁর বাড়িতে ঢিল মেরেছেন। তা নিয়ে নওশাদের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়েছিল। সকাল থেকে শুরু হওয়া সেই ঘটনার রেশ এখনও চলছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও তপ্ত ফুরফুরা। দফায় দফায় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিনভর দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আইএসএফ কর্মীদের। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফেটেছে। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন নওশাদ। অবরুদ্ধ হয়ে যায় শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া রোড। এদিনে গোলমালে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছেন অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার লাল্টু হালদারও। তবে এই গোলমালের পরিস্থিতির মধ্যেই শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন সম্পন্ন হয়েছে ফুরফুরায়। প্রধান হয়েছেন রাজিয়া সুলতানা এবং উপপ্রধান হয়েছেন মৃগাঙ্কমোহন মাল।
বৃহস্পতিবার ফুরফুরার গন্ডগোল নিয়ে মুখ খুলেছেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপও। জানালেন, ‘আমরা ফুরফুরাকে খুব সম্মান করি। আজ ফুরফুরা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। আমরা চেয়েছিলাম, যাতে ভালভাবে সব কিছু হয়। তাই পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপারও ছিলেন।’ হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, সকালে ওই এলাকায় কিছু লোক রাস্তা অবরোধ করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। তখন আইএসএফের কিছু লোক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।
পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, ঘটনায় অ্যাডিশনাল এসপি সহ বেশ কয়েকজন ওসি ও কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পাঁচজনকে পুলিশ আটক করেছে ঘটনায়। এই ঘটনায় যারা যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। এসপি আমনদীপের বক্তব্য, এই গোলমালের সময়ে কাশেম সিদ্দিকী, নওশাদ সিদ্দিকী-সহ কয়েকজন হুজুর ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। ফুরফুরার গোলমালের ঘটনায় যারা যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে শনাক্ত করে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানাচ্ছেন এসপি।
তবে নওশাদ সিদ্দিকীর বাড়িতে ঢিল মারার অভিযোগের বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানাচ্ছেন পুলিশ সুপার। বললেন, ‘আইএসএফের লোক ইটবৃষ্টি করছিল। পুলিশকর্মীরা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। এখন নওশাদ সিদ্দিকী যে অভিযোগ করছেন সেটি তদন্ত করে দেখা হবে, কে ঢিল মেরেছে। গোলমালের সময় চারিদিকে পুলিশ ছিল। আইএসএফের লোকেরা ইটবৃষ্টি করছিল। হতে পারে ওখান থেকে লেগে গিয়েছে। তবে যাই হোক, সেটি তদন্ত করে দেখা হবে।’