Chandrayaan-3: চাঁদে নেমেই তথ্য সংগ্রহ করছে রোভার, প্রজ্ঞানের ক্যামেরা তৈরিতে অবদান রয়েছে উত্তরপাড়ার জয়ন্তরও

Chandrayaan-3: প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের মাটি ছুলেই শুরু হবে নেভিগেশন ক্যামেরার কাজ। যার অন্যতম মুখ্য ভূমিকায় আছে উত্তরপাড়ার ছেলে জয়ন্ত লাহা এবং তার টিম।

Chandrayaan-3: চাঁদে নেমেই তথ্য সংগ্রহ করছে রোভার, প্রজ্ঞানের ক্যামেরা তৈরিতে অবদান রয়েছে উত্তরপাড়ার জয়ন্তরও
জয়ন্ত লাহার বাবা-মাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2023 | 12:32 PM

উত্তরপাড়া: চন্দ্রযানে ভর করে চাঁদে নেমেছে ‘বীর’ বিক্রম। এবার কাজ শুরু হবে প্রজ্ঞানের। আর নেভিগেশান ক্যামেরা দলের অন্যতম সদস্য উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা। চন্দ্রযান ২ এর ব্যার্থতা ভুলিয়ে চাঁদের মাটিতে ইতিহাস গড়েছে ভারত। পৃথিবীর চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে। আবার পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করছে ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রমের পেটে থাকা প্রজ্ঞান এবার তার কাজ শুরু করবে। সে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ছবি তুলে পাঠাবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে। চাঁদের মাটি, খনিজ,জলের খোঁজ করবে প্রজ্ঞান। আগামী দিনে বিশ্বের কাছে নতুন দিক খুলে দেবে ভারতের এই সাফল্য।

প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের মাটি ছুলেই শুরু হবে নেভিগেশন ক্যামেরার কাজ। যার অন্যতম মুখ্য ভূমিকায় আছে উত্তরপাড়ার ছেলে জয়ন্ত লাহা এবং তার টিম।

জয়ন্তবাবু উত্তরপাড়া গর্ভমেন্ট হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা করে শিবপুর বিই কলেজে ভর্তি হন। পরে খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হয়। সেখানে মাস্টার্স করার পর ইসরোতে যোগ দেন ২০০৯ সালে। চন্দ্রযান ৩ মিশনের ইসরোর বিজ্ঞানীদের যে টিম কাজ করেছে সেই টিমের অন্যতম সদস্য জয়ন্ত। চন্দ্রযানের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সরাসরি সম্প্রচারে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বারবার দেখা যাচ্ছিল জয়ন্তকে। তাঁদের সাফল্যে দেশ আজ গর্বিত। ছেলের সাফল্যে গর্বিত তার বাবা প্রশান্ত লাহা ও মা চন্দনা লাহা।

গতকাল উত্তরপাড়ায় তাঁদের বাড়িতে যান উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব। জয়ন্ত এবং ইসরোর সাফল্যে শুভেচ্ছা জানান গর্বিত মা বাবাকে। বাবা প্রশান্ত লাহা বলেন, “খুবই আনন্দ লাগছে। এর আগে চন্দ্রযান ২ যে কোনও কারণেই হোক সফল হতে পারেনি। তখন ছেলেরও মন খারাপ হয়েছিল। এবার সেই সফলতা এসেছে। যদিও এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। ওর কনসার্ন যেটা হলো নেভিগেশন ক্যামেরা সেটা গ্রাজুয়েলি কাজ করা শুরু করেছে। আমরা আশা করব বাকি যে কাজগুলো সেগুলো সফলতার সঙ্গে হবে। মিশনটার মধ্যে থাকায় ছেলের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি।”

মা চন্দনা লাহা বলেন, “ছেলের ছোটবেলায় পোলিও হয়েছিল। কথা বলত না। একটু অসুস্থই ছিল। চিকিৎসক বলেছিলেন ওকে চাপ দেবেন না। কিন্তু ও আমাদের চাপে রাখল। আজ সারাদিন আমরা খুব চাপেই ছিলাম। ও খুব পড়তে ভালোবাসে। এখনো শুধু গল্পের বই পড়ে। ছেলের সাফল্যে আমরা গর্বিত। ও আরও বড় হোক।” পুর প্রধান দিলীপ যাদব বলেন,”আজ ঈশ্বর এই সাফল্যে বিজ্ঞানীদের যে টিম কাজ করেছে তাদের অভিবাদন শুভেচ্ছা জানাচ্ছে গোটা দেশবাসী। আমরাও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”