Tarakeswar Panchayat Board: অভিষেকের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রত্যাবর্তন নির্দল প্রার্থীদের, চরমে কোন্দল তৃণমূলে

Tarakeswar Panchayat Board: প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনেক জায়গাতেই দেখা গিয়েছে টিকিট না পেয়ে দলবদল করেছেন অনেকে। সেসময়ে তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেরাচ্ছিলেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Tarakeswar Panchayat Board: অভিষেকের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রত্যাবর্তন নির্দল প্রার্থীদের, চরমে কোন্দল তৃণমূলে
বোর্ড গঠনের আগেই নির্দলদের প্রত্যাবর্তনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2023 | 1:21 PM

হুগলি: তৃণমূল একাই পারত বোর্ড গঠন করতে। দরকার ছিল না নির্দল জয়ী প্রার্থীদের সমর্থন। তা-ও নির্দল প্রার্থীরা পুরনো ঘরে ফিরল। যেখানে স্বয়ং দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যারা তৃণমূল থেকে বেরিয়ে নির্দলে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে, তাদের জন্য দরজা বন্ধ। সে নির্দেশ ফুৎকারে উড়িয়ে খিল খুলে দিল তারকেশ্বরের নাইটা মাল পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতৃত্ব। আর নির্দল জয়ী প্রার্থীদের যোগদানের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দলের অন্দরেই শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।

দলেরই একাংশের অভিযোগ, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করেই নির্দলদের দলে যোগদান করানো হয়েছে। একই অভিযোগ করেন তারকেশ্বর ব্লক সভাপতি প্রদীপ সিংহ রায়ও। তিনি আরও জানান, এই যোগদান দলের শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে যার নেতৃত্বে এই যোগদান অর্থাৎ ওই পঞ্চায়েতের জয়ী তৃণমূল সদস্য তথা জেলা কমিটির সদস্য শেখ মনিরুল ইসলামের দাবি, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই নির্দলদের দলে যোগদান করানো হয়েছে। এবং তারা বোর্ড গঠনে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনেক জায়গাতেই দেখা গিয়েছে টিকিট না পেয়ে দলবদল করেছেন অনেকে। সেসময়ে তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেরাচ্ছিলেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্টভাবে তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁরা টিকিট না পেয়ে দল বদল করছেন, তাঁদের আর কখনই দলে ফেরানো হবে না।

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি কড়া বার্তা দিয়েছিলেন, তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর দলীয় প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেলেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি এবং নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁরা জয়ী হলেও তাঁদের দলে ফেরানো যাবে না।

এক্ষেত্রে নাইটা মাল পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে তিন জনই তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দেন। পরে প্রত্যাহার না করে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয় লাভ করেন। তাঁদেরকে ফের দলে নেওয়ায়, তৃণমূল অন্দরেই শোরগোল পড়ে যায়। নাইটা মাল পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ২১ জন। যার মধ্যে তৃণমূল জয়লাভ করে ১৭টি আসনে, বিজেপি ১ টি এবং নির্দল ৩ টি আসনে জয়লাভ করে।