BJP: হোটেল থেকে উদ্ধার গুড়াপের বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ, খুন নাকি আত্মহত্যা? বাড়ছে রহস্য
BJP: ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়ার পরই তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গুড়াপ: কল্যাণীর হোটেল থেকে উদ্ধার ধনিয়াখালির নব নিযুক্ত বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতির দেহ। ওই বিজেপি নেতার নাম সুদীপ ঘোষ। বাড়ি হুগলির গুড়াপের গুরবারি এলাকায়। কিছুদিন আগেই তাঁকে ধনিয়াখালি ব্লকের ১৯৭ নম্বর মণ্ডল বিজেপি সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয় হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির তরফ থেকে। সূত্রের খবর, দু’দিন আগে কল্যাণীর একটি বেসরকারি হোটেলে ঘর ভাড়া নেন তিনি। এরইমধ্যে, এদিন সকালে ওই হোটেল থেকেই উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। আত্মহত্য়া নাকি খুন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
যদিও ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়ার পরই তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী কারণে মৃত্যু, তার তদন্ত শুরু করেছ কল্যাণী থানার পুলিশ। বাবা সুফলচন্দ্র ঘোষ জানাচ্ছেন, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হন সুদীপ। শুক্রবারও ছেলের সঙ্গে কথা হয় বাবার। জানায় শনিবার বাড়িল ফিরবে। তারমধ্যে ঘটে যায় এ ঘটনা। কল্যাণী থানা থেকে এদিন সকালেই মৃত্যুর খবর জানানো হয় বাড়িতে। তবে তাঁর বাবা এও জানাচ্ছেন, বিজেপি করতে গিয়ে প্রায়শই নানা হুমকির মুখে পড়েছেন সুদীপ। কিন্তু, ভয় পাননি কোনওদিন। তাই তিনি যে আত্মহত্যা করতে পারেন তা মানতে পারছেন না অনেকেই। শোকের ছায়া পরিবারে।
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, “ওর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তো রয়েছে। আমার মনে হয় এর পিছনে কোনও চক্রান্ত আছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে সমস্তরকম চেষ্টা করা হবে।”