Electric Fan: সারাদিন বন বন করে ঘুরলেও চিন্তা থাকবে না বিল নিয়ে, রাজ্যেই তৈরি হচ্ছে এমন পাখা

Hooghly: বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্ব বিশ্বাসের হাত ধরে এই পাখার উদ্বোধন হল। উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও। কী এই পাখার বিশেষত্ব?

Electric Fan: সারাদিন বন বন করে ঘুরলেও চিন্তা থাকবে না বিল নিয়ে, রাজ্যেই তৈরি হচ্ছে এমন পাখা
কী এই পাখার বিশেষত্ব?Image Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2023 | 5:03 PM

পোলবা: বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে দিন দিন বাড়ছে গরম। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে এখন জাঁকিয়ে শীত বলতে ওই ডিসেম্বরের শেষের দুই সপ্তাহ, আর জানুয়ারির শুরুর দুই সপ্তাহ। বাকি গোটা বছরটাই মোটামুটি গরমের অনুভূতি থাকে। আর এসবের মধ্যেই বাড়ছে এসির চাহিদা। কিন্তু যাঁদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই? তাঁদের সম্বল বলতে মাথার উপর বন বন করে ঘুরতে থাকা পাখা। সারাদিন পাখা চালু রাখতে গেলে তো বিদ্যুতের মাশুলও গুনতে হবে। সেই নিয়েও মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিতে চিন্তার শেষ নেই। তবে এবার বিদ্যুতের খরচ নিয়ে চিন্তার দিন শেষ হতে চলেছে। বাজারে আসছে নতুন এক ধরনের বৈদ্যুতিন পাখা। সারাদিন চললেও, বিদ্যুতের মাশুল গুনতে হবে সামান্যই। হুগলির পোলবায় এক সংস্থার কারখানায় তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ ফ্যান। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্ব বিশ্বাসের হাত ধরে এই পাখার উদ্বোধন হল। উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও।

কী এই পাখার বিশেষত্ব? এই পাখাগুলি তৈরি হয়েছে বিএলডিসি প্রযুক্তিতে। বিএলডিসি কথার পুরো অর্থ ব্রাশলেস ডিরেক্ট কারেন্ট মোটর। এই প্রযুক্তিতে চলা পাখার মোটরটি বিদ্যুতের উৎস হিসেবে ডিরেক্ট কারেন্ট ব্যবহার করে। সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর সম্পূর্ণা ঘোষের কথায়, এই বিএলডিসি প্রযুক্তিতে চলা পাখা অনেক কম বিদ্যুৎ টানে। ফলে বিদ্যুতের বিলও কম ওঠে। ঠিক যেভাবে পুরনো দিনের বাল্বের বদলে আধুনিক এলইডি আলো এসেছে, অনেকটা সেরকমই এই বিএলডিসি পাখা। সংস্থার তরফে আরও দাবি করা হচ্ছে, যদি গোটা দেশের ৩০ কোটি মানুষও এই বিএলডিসি পাখা ব্যবহার করেন, তাহলেও এক বছরে প্রায় ৮১০০ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে।

এদিন বিএলডিসি পাখার উদ্বোধনে এসে বেশ খুশি মন্ত্রীমশাইও। যাঁদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই, তাঁদের জন্য গরমের মরশুমে এই পাখা যথেষ্ট উপকারী হতে পারে বলেই মনে করছেন তিনি। কারণ, এই পাখা সারাদিন চললেও বিদ্যুতের বিল অনেকটাই কম আসবে। প্রসঙ্গত, এই সংস্থার কারখানায় বর্তমানে প্রায় ২০০ জন কর্মী রয়েছেন। সেক্ষেত্রে কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। আর এই বিষয়টিও এদিন উঠে আসে মন্ত্রীর কথায়। বলছেন, ‘শুধু চাকরির কথা ভাবলে হবে না। এমন ছোট-বড় শিল্পের কথাও ভাবতে হবে একইসঙ্গে। তাহলেই আরও কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং পরবর্তী প্রজন্ম এগিয়ে যাবে।’

সংস্থার তরফে দাবি করা হচ্ছে, তারা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ মন্ত্রকের থেকে ফাইফ স্টার রেটিং পেয়ে গিয়েছে। তাছাড়া, আগে এই ধরনের পাখা এদেশে তৈরি হলেও তার সব যন্ত্রাংশ বাইরে থাকে আনতে হত। বাইরে থেকে যন্ত্রাংশ এনে এখানে তৈরি করা হত। কিন্তু এখন গোটা প্রক্রিয়াটিই চলবে এই সংস্থার কারখানায়। ফলে আগামী দিনে বাজারে চলতি অন্যান্য পাখার তুলনায়, এই বিএলডিসি পাখার দাম অনেকটাই কম। সংস্থার দাবি, ৯৯৯ টাকাতেই এই বিএলডিসি ফ্যান বাজারে পাওয়া যাবে।