Arambag: আরামবাগে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে হামলা, বিজেপি বলছে, ‘নির্দল কাঁটা বিঁধছে’
Hooghly: অভিযোগ, এই গ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি হরিপদ ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপির কয়েকজন। শাসকদলের এই নেতার বাড়িতে হামলার পাশাপাশি আরও দুই তৃণমূল কর্মী রাজকুমার চৌধুরী ও তাপস চৌধুরীর বাড়িতেও চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আরামবাগ: গণনার পরদিন ফের রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থল আরামবাগের দক্ষিণ নারায়ণপুর। আরামবাগের একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, মারধর, লুঠপাটের অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ তুলছে, শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই। বুধবার সকালে মলয়পুরের পর অভিযোগ এসেছে দক্ষিণ নারায়ণপুর এলাকা থেকেও। এখানে বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে।
অভিযোগ, এই গ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি হরিপদ ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপির কয়েকজন। শাসকদলের এই নেতার বাড়িতে হামলার পাশাপাশি আরও দুই তৃণমূল কর্মী রাজকুমার চৌধুরী ও তাপস চৌধুরীর বাড়িতেও চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির দিকে আঙুল তুলে প্রতিবাদে মুখর শাসকদল। পাল্টা অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও। রাজকুমারের অভিযোগ, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয় তাঁকে। তৃণমূল করেন বলে এই হামলা বলে অভিযোগ।
হরিপদ ঘোষ ও দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়ির আসবাবপত্র, টেবিল চেয়ার, আলমারিতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরই বিশাল পুলিশ এসে পৌঁছয়। আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুরু হয় বাহিনীর টহল। তবে আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগের দাবি, “ওখানে আসলে তৃণমূল আর তৃণমূলের নির্দলদের লড়াই ছিল। সেই লড়াইয়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আমাদের বিজেপি কর্মীদের ৪-৫টা বাড়ি ভাঙা হয়েছে। একটা পুড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের নির্দল গোষ্ঠী বাড়ি পুড়িয়ে এখন আমাদের ঘাড়ে দোষ ঠেলছে। এটা লজ্জাজনক। আমাদের এক কর্মীকে পুলিশ ধরেও নিয়ে গিয়েছে।”