Howrah: ধাক্কা দিতেই খুলে গেল দরজা, মেঝেতে পড়ে মা-মেয়ের নিথর দেহ! হাওড়ায় জোড়া মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে ধোঁয়াশা
Howrah: সকাল থেকেই মা-মেয়ের দেখা বা সাড়াশব্দ কিছুই পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। প্রথম দিকে কিছু মনে না হলেও, বেলা গড়িয়ে দুপুর হতেই সন্দেহ জাগতে থাকে প্রতিবেশীদের মনে।
হাওড়া: বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে উদ্ধার মা ও মেয়ের দেহ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বসিরউদ্দিন মুন্সি লেনে। ঘরের মেঝের মধ্যে পড়েছিল মা আয়েশা খাতুনের (৫৫) নিথর দেহ। আর পাশেই পড়ে ছিল মেয়ে শারজাহা খাতুনের (৩৫) দেহ। কীভাবে দু’জনের মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিন দুপুরে হাওড়া থানার পুলিশ তাঁদের দেহ উদ্ধার করে। দু’জনের দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীদের মধ্যেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মা ও মেয়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু, তা জানার চেষ্টা করছে হাওড়া থানার পুলিশ।
হাওড়ার বসিরউদ্দিন মুন্সি লেনের ওই বাড়িতে শুধু মা ও মেয়েই থাকতেন। বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। এদিন সকাল থেকেই মা-মেয়ের দেখা বা সাড়াশব্দ কিছুই পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। প্রথম দিকে কিছু মনে না হলেও, বেলা গড়িয়ে দুপুর হতেই সন্দেহ জাগতে থাকে প্রতিবেশীদের মনে। বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করেও কোনও উত্তর না পাওয়ায় সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপর দরজা ঠেলাঠেলি করলে প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন, দরজা ভিতর থেকে খোলা। শুধু দরজার পাল্লাটি বন্ধ করে রাখা ছিল। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ প্রতিবেশীদের।
ফ্ল্যাটের ভিতরে মেঝেতে নিথর অবস্থায় পড়েছিল আয়েশা খাতুনের দেহ। আর পাশেই পড়েছিল মেয়ের শারজাহার দেহ। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা খবর দেন হাওড়া থানায়। দু’জনের মৃত্যুর খবর পেয়েই ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছে যান কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। ফ্ল্যাটের আশপাশে তখন প্রতিবেশীদের জটলা। পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কী কারণে এই দুইজনের মৃত্যু হল, তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।