Howrah Child stolen: হাওড়া হাসপাতাল থেকে ‘চুরি’ একরত্তি, মা-কে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এল সত্য
Howrah Child stolen: জানা গিয়েছে, সোমবার নিজের এক বছরের সন্তানকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এনেছিলেন মা সিমি পারভিন। বাচ্চাটির জন্য ড্রাইপার কিনতে যাবেন বলে তিনি হাসপাতালে আসা এক মহিলার কাছে দুধের সন্তানকে রেখে যান।
হাওড়া: হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে সন্তান ‘চুরি’ হল এক মহিলার। তিনি বলেন, দুধের শিশুকে অন্য এক মহিলার কাছে দিয়ে ড্রাইপার কিনতে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর শিশু সমেত ওই মহিলাকে আর খুঁজে পাননি তিনি। গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। তদন্ত শুরু করে হাওড়া থানার পুলিশ। তারপরই বেরিয়ে আসে সত্য। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা জানান, তিনিই হাওড়া স্টেশনে সন্তানকে ফেলে এসেছেন। রেল পুলিশ ওই একরত্তিকে উদ্ধার করেছে। তাকে চাইল্ড হোমে পাঠানো হয়েছে।
কী ঘটেছে?
সিমি পারভিন নামে ওই মহিলা জানান, সোমবার নিজের এক বছরের সন্তানকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। বাচ্চাটির জন্য ড্রাইপার কিনতে যাবেন বলে তিনি হাসপাতালে আসা এক মহিলার কাছে দুধের সন্তানকে রেখে যান। ফিরে এসেই আঁতকে ওঠেন ওই মহিলা। দেখেন মহিলাও নেই। শিশুও নেই। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে খোঁজাখুঁজির পর তিনি বাঁকড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরে যান।
পাড়া প্রতিবেশী ও স্বামীকে নিয়ে ফের হাওড়া জেলা হাসপাতালে আসেন। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের বাচ্চাকে চুরি করা হয়েছে। এই ঘটনা জেলা হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে আসে হাওড়া থানার পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ।
এদিকে, হাওড়া স্টেশন থেকে একটি শিশুকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুটিকে নিয়ে তার মা ডাক্তার দেখানোর জন্য প্রথমে হাওড়া জেলা হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে ডাক্তার না দেখিয়ে তিনি সরাসরি হাওড়া স্টেশনে চলে যান। এরপর হাওড়া স্টেশনে ২ নম্বর এবং ৩ নম্বর প্লাটফর্মের কাছে বাচ্চাটিকে ফেলে রেখে ফের হাওড়া হাসপাতালে ফিরে আসেন। হাওড়া স্টেশন থেকে রেল পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারের পর তাকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয়। আজ বিকেলে হাওড়া থানার ওসি এবং হাওড়া জিআরপির আধিকারিকরা দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই মহিলা ভেঙে পড়েন। রেল পুলিশের পক্ষ থেকে শিশুটিকে চাইল্ড লাইনের হোমে পাঠানো হয়েছে। তার মাকে উইমেন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক অনটনের কারণে শিশুটির মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। এই ঘটনার পেছনে এই কারণগুলো আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।