Howrah: ভোট না দেওয়ায় HIV পজেটিভ দম্পতিকে ভাতে মারার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

Howrah: হাওড়ার শ্যামপুরের ঘটনা। জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে এক দম্পতি কাজের জন্য মুম্বই চলে যান। ওই পরিবারের দাবি, ভিন রাজ্যে থাকাকালীন তাঁরা এইআইভি-তে আক্রান্ত হন।

Howrah: ভোট না দেওয়ায় HIV পজেটিভ দম্পতিকে ভাতে মারার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
এইচআইভি আক্রান্ত দম্পত্তির খাবার বন্ধের অভিযোগImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2023 | 2:14 PM

হাওড়া: কাজের সুবাদে রাজ্য ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন দম্পতি। কয়েক বছর পর যদিও ফেরত আসেন তাঁরা। তবে, আক্রান্ত হন এইআইভি-তে। এবার সেই দম্পতিরই খাবার বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাদর ভোট না দেওয়ায় সরকারি প্রকল্প বন্ধের অভিযোগ উঠল। পরে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর পুনরায় তাঁদের প্রকল্প চালু করা হয়েছে বলে খবর।

হাওড়ার শ্যামপুরের ঘটনা। জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে এক দম্পতি কাজের জন্য মুম্বই চলে যান। ওই পরিবারের দাবি, ভিন রাজ্যে থাকাকালীন তাঁরা এইআইভি-তে আক্রান্ত হন। তারপর থেকে তাঁদের চিকিৎসা চলছিল। এরপর ২০১৬ সালে ফেরত আসেন হাওড়ায়। ‘সহায় প্রকল্পে’-র আওতায় তাঁরা এতদিন ধরে খাবার পেয়ে আসছিলেন।

অভিযোগ, এইবার পঞ্চায়েত ভোটে ওই দম্পতি তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। আর সে কথা জানার পরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা জুলফিকার আলি বন্ধ করে দিয়েছেন খাবার। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বলেন, “আমি এতদিন মুম্বই থাকতাম। ২০১৬ সালে এখানে আসি। এতদিন বিছানায় পড়ে ছিলাম। বিডিও-র মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের খাবার পেয়ে এসেছিলাম। এইবার পঞ্চায়েত ভোটে আমি তৃণমূলকে ভোট দিইনি। সেটা জানতে পারে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আমার বাড়িতে এসে বলেন তুমি দলকে ভোট দাওনি। তোমার ভাত বন্ধ।”

যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “এই অভিযোগ সঠিক নয়। যেহেতু আমাদের এই শ্যামপুর ব্লকে সহায় প্রকল্প চলে না সেই কারণে মিড-ডে মিলের খাবার থেকে আমরা ওনাদের খাবার দিচ্ছিলাম। তিনি কোন দল করেছেন কী করেননি তা আমাদের কাছে বিচার্য বিষয় নয়। উনি দুস্থ, অসহায়, হতদরিদ্র। উনি খাবার পাবেন এটাই স্বাভাবিক। এখন যখন আমার নজরে এসেছে আমি দেখব ওনারা যাতে খাবার পান।” এই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর ফের যদিও প্রকল্প চালু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনার খবর শোনার পর কড়া নিন্দা করছেন বামপন্থী অভিনেতা বাদশা মৈত্র। বলেছেন, “অমানবিক আচরণ। এগুলো যাঁরা করছেন জানি না কেন করছেন। এইভাবে শাস্তি দিয়ে বড় জয় হয় না।”