Panchayat Election: ছেলেবেলা থেকে বন্ধুত্ব, ‘চোরদের আগে তাড়াতে হবে’, রাজনীতিতে নামতেই জয় ছিনিয়ে বলছেন মাকসুদা-খালেদা
Panchayat Election: ‘চোরদের আগে তাড়াতে হবে’, কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জিতে বলছেন ছেলেবেলার বন্ধু মাকসুদা-খালেদা।
বাইনান: ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। একইসঙ্গে গিয়েছেন স্কুলে। তবে দিনবদলের স্বপ্ন দেখার শুরু সেই ছেলাবেলাতেই। উপায় খুঁজতে খুঁজতেই এবার দুই বন্ধু মিলে নেমে পড়েছেন রাজনীতির ময়দানে। মাকসুদা বেগম ও খালেদা বেগম। দুজনেই এবারে কংগ্রেসের (Congress) টিকিটে লড়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে। জিতেও গিয়েছেন। দু’জনেই বলছেন, শুধু জয়ের হাসি হাসতে চাই না। এবারই শুরু হবে আসল কাজ। দু’জনের পড়াশোনা বাইনান গার্লস হাইস্কুলে। যদিও স্কুলের গণ্ডি পেরোনার পরেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে দুজনেরই।
কিন্তু, বিয়ের পরে বন্ধুত্বে কোনও ছেদ পড়েনি মাকসুদা-খালেদার। দুজনের স্বামীই পরিযায়ী শ্রমিক। বছরের বেশিরভাগ সময় ভিন রাজ্যে থাকেন কাজের কারণে। এবার গ্রামে থেকে গ্রামের মানুষের জন্য লড়াই করতে চাইছেন তাঁদের স্ত্রীরা। বাইনান পঞ্চায়েত চলে গিয়েছে কংগ্রেস আইএসএফ জোটের দখলে। এখান থেকেই ভোটে (Panchayat Election) দাঁড়িয়েছিলেন দুই বন্ধু।
খালেদা বেগম বলছেন, “সমাজে তো চোরেদের উৎপাত অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এখন যদি যুব সমাজ এগিয়ে না আসে তাহলে আর কখন আসবে! এরপর তো সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তাই সমাজকে ঠিক রাখতে, সুস্থ রাখতেই আমি রাজনীতিতে নেমেছি। চাইব সবাই এই কাজে এগিয়ে আসুক। সমাজের হাল ধরুক। তবেই সুস্থ স্বাভাবিক একটা সমাজ গড়া সম্ভব হবে।” একইসঙ্গে ভোট সন্ত্রাসে রাজ্যে একের পর এক মৃত্যু নিয়েও দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। খুবই দুঃখজনক। আগামীদিনে যাতে এগুলো না হয় তার জন্য আমি চেষ্টা করব। সেই আবেদনই রাখব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।”
বন্ধুর মতোই চোখে দিন বদলের স্বপ্ন মাকসুদা বেগমেরও। তিনি বলছেন, “আমরা দুজনেই একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি। একসঙ্গে স্কুলেও যেতাম। একসঙ্গেই আমরা বড় হয়েছি। এখন চারপাশে যা দুর্নীতি, অন্যায়-অত্যাচার হচ্ছে এসব দেখেই আমরা রাজনীতিতে নেমেছি। আমরা এগুলো বন্ধ করতে চাই। যাঁরা অত্যাচারিত বচ্ছেন আমরা তাঁদের পাশে থাকতে চাই।”