Death: সাঁতার জানতেন না, একপ্রকার জোর করেই গঙ্গাস্নানে যাওয়া… আর ফিরলেন না পাঁচলার প্রীতম
Howrah: প্রীতমের কাকা জানান, তাঁদের বাড়ির ছেলে সাঁতারও জানতেন না। তারপরও জেদ করে গঙ্গায় স্নান করতে যান। মা-বাবার এক ছেলে প্রীতম। সন্তান হারিয়ে পাথর তাঁরা।
হাওড়া: গঙ্গায় স্নান করতে নেমে সলিল সমাধি যুবকের। নিহতের নাম প্রীতম ঘুঘু (১৮)। বাড়ি পাঁচলায়। প্রীতমের পরিবারের লোকজন জানান, সোমবার সকালে বন্ধুদের সঙ্গে গঙ্গাস্নানে গিয়েছিলেন তিনি। সকাল ১০টা নাগাদ সাঁকরাইলের ঘাটে নামেন তাঁরা। এরপরই প্রীতমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুরু হয় খোঁজ। সাঁকরাইল থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপরই গঙ্গায় নামানো হয় ডুবুরি। প্রায় ঘণ্টাখানেক তল্লাশির পর প্রীতমের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, বাড়ির লোকজন গঙ্গায় যেতে বারবার না করেছিলেন। সে কথা না শুনেই বেরিয়ে যান ওই যুবক। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়না তদন্ত হয়েছে। পাশাপাশি কীভাবে এই যুবকের মৃত্যু হল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
হাওড়ার জুজার সাহা পি এন মান্না স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন প্রীতম। পরের বছর বোর্ডের পরীক্ষা। প্রীতমের কাকা সত্যেন্দ্রনাথ ঘুঘু বলেন, “সকালে বাড়ি থেকে বেরোল। কারও কথা শুনল না। ১১টা নাগাদ ওর বন্ধুরা বলছে প্রীতমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সকলে গঙ্গার ঘাটে ছুটে আসি। এসে শুনলাম ডুবে গিয়েছে।”
প্রীতমের কাকা জানান, তাঁদের বাড়ির ছেলে সাঁতারও জানতেন না। তারপরও জেদ করে গঙ্গায় স্নান করতে যান। মা-বাবার এক ছেলে প্রীতম। সন্তান হারিয়ে পাথর তাঁরা। শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। ওপারের গঙ্গার ঘাটগুলিতে বহু মানুষের ভিড়। সেখান থেকেই পুণ্যার্থীরা তারকেশ্বরের পথে রওনাও দেন। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, গঙ্গার ঘাটে আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর দরকার ছিল।