Kiwi Fruits: গাছ ভর্তি থোকা থোকা বিদেশি ফল, কিনবে কে? পথ খুঁজছে প্রশাসন
Kiwi Fruits: TV9 বাংলায় কৃষকদের সেই সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
জলপাইগুড়ি: অতি যত্নে গাছে গাছে কিউই ফল ফলিয়েছেন কৃষকরা। আশা ছিল, এই স্বল্প পরিচিত ফল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন অনেকেই। কিন্তু কোথায় কী? গাছ ভরা ফল ফললেও মাথায় হাত পড়েছিল কৃষকদের। কীভাবে বিক্রি করবেন? কী ভাবে খরচ জোগাবেন? তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। অবশেষে TV9 বাংলার খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। কিউই ফল চাষিদের ডেকে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজল কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লক প্রশাসন।
কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের বেশ কয়েকজন কৃষককে আজ থেকে ৫ বছর আগে নাবার্ড-এর পক্ষ থেকে অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে উন্নত মানের কিউই ফলের চারা সরবরাহ করা হয়েছিল। বাড়তি লাভের আশায় গরুবাথান ব্লকের প্রায় ৬০ জন কৃষক তাঁদের প্রথাগত স্কোয়াশ,মূলো, কফি চাষ ছেড়ে বিদেশি কিউই ফল চাষ করতে শুরু করেছিলেন। ভালভাবে লালন পালন করার পর গত দু বছর ধরে ওই গাছ গুলিতে প্রচুর কিউই ফল হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় সেই ফলগুলি গাছেই পচছে বলে অভিযোগ ছিল স্থানীয় কৃষকদের। TV9 বাংলায় সেই সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।
খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সোমবার দুপুরে গরুবাথান বিডিও অফিসে কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন গরুবাথান ব্লকের বিডিও সৌভিক বসু। ফলগুলির গতি করতে পদক্ষেপ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। তিনি জানিয়েছেন, কিউই ফল গুলিকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি দরে সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিপনণের ব্যবস্থা করা হবে। ওই সংস্থা গুলি কৃষকদের গ্রামে এসে ফল সংগ্রহ করবে।
বর্তমানে ফল গাছের জন্য বাঁশের মাচা ব্যবহার করছেন কৃষকেরা। এর জন্য প্রতি বছর মোটা টাকা খরচ হয় কৃষকদের। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে লোহা দিয়ে মাচা তৈরি করে দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, এখন পর্যটনের মরশুম। এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন হোম স্টে, টুরিস্ট স্পট, পিকনিক স্পটগুলিতে এই ফল বিক্রি করা পরামর্শও দিয়েছেন বিডিও। সে ক্ষেত্রে কৃষকেরা যদি সরাসরি পর্যটকদের কাছে বিক্রি করতে চান, তবে তার জন্যও সাহাযযে করবে ব্লক প্রশাসন।
বিডিও সৌভিক বসু জানিয়েছে, কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এদিন। আলোচনা সদর্থক হয়েছে।