Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘চলুন এখনই যাব’, পঞ্চায়েত ভোটের মামলার CCTV ফুটেজ দেখতে মেখলিগঞ্জ ছুটলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Justice Abhijit Gangopadhyay: স্ট্রং রুমে অসঙ্গতি ছিল, করা হয়েছে কারসাজি, এই নিয়ে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ এলাকার নির্দল-সহ মোট ১০ জন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাই চলছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত একটি মামলার স্টং রুমের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে মেখলিগঞ্জ ছুটলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। স্ট্রং রুমে অসঙ্গতি ছিল, করা হয়েছে কারসাজি, এই নিয়ে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ এলাকার নির্দল-সহ মোট ১০ জন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এদিন সেই মামলা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সূত্রের খবর, এজলাসে জমা দেওয়া ভিডিয়ো ফুটেজ কিছুতেই খুলছিল না। তাতে খানিকটা বিরক্তও হন বিচারপতি। তখন বিচারপতিকে বলা হয় মেখলিগঞ্জে একটি সফটওয়্যার আছে যা দিয়ে এই ফুটেজ খোলা যাবে। একথা শোনা মাত্রই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন তিনি এখনই মেখলিগঞ্জ যাবেন। সূত্রের খবর, বিকেল ৩.৪০ নাগাদ মেখলিগঞ্জ বেরিয়ে যান।
মামলাকারীদের আইনজীবী কুনালদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “ভোটের পরে স্ট্রং রুমে এমন কিছু কাজ হয়েছিল যা হওয়া উচিত নয়। তা নিয়েই একটা মামলা হয়েছিল। সেই মামলাতেই আদালত সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছিল। আজকে এখানে যখন সিসিটিভি ফুটেজ চালানো হয় সেটা চলে না। তখন বিচারপতি জানতে চান কেন চলছে না। তখনই ফুটেজ নিয়ে যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা জানান ফুটেজ চালানোর জন্য একটা বিশেষ সফটওয়্যারের প্রয়োজন। যা মেখলিগঞ্জে গেলে পাওয়া যাবে। তখনই তিনি বলেন আমি এখনই যাব মেখলিগঞ্জে।” কিন্তু, মামলার গতিবিধি কোন দিকে যেতে পারে তা নিয়ে চলছে চাপানউতর। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এই পদক্ষেপে নিয়েও চলছে জোর জল্পনা।
মামলাকারীদের আর এক আইনজীবী হায়দার আলী বলেন, “বিচারপতি নিজে যাচ্ছেন। ওখানে গিয়ে এখন কী পাওয়া যায় দেখা যাক। তারপরই মামলার পরবর্তী অগ্রগতি বোঝা যাবে।”