Death Penalty: ঝাড়গ্রামে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন! ২ দোষী সাব্যস্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত
Physical Harassment Case: মাত্র পাঁচ বছর বয়সি এক ছোট্ট মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নাবালিকার উপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনার দেড় বছর পেরিয়ে শেষে সাজা ঘোষণা হল দুই অভিযুক্তর।
ঝাড়গ্রাম: নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত দুই ব্যক্তিকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত। মঙ্গলবারই ওই দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল ঝাড়গ্রাম আদালত। আজ তাদের সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। উভয়েরই মৃত্যুদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের। ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থানা এলাকায়। মাত্র পাঁচ বছর বয়সি এক ছোট্ট মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নাবালিকার উপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনার দেড় বছর পেরিয়ে শেষে সাজা ঘোষণা হল দুই দোষী সাব্যস্তর।
ঘটনার শুরুতে নাবালিকার ধর্ষণের কথা জানাই যায়নি। ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ওই ছোট্ট মেয়েটি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনও সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন একরাশ উৎকণ্ঠা নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছিল। তখন শুধুই নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। পুলিশ এরপর খোঁজখবর শুরু করতেই এই দুই ব্যক্তির নাম উঠে আসে। একই এলাকার বাসিন্দা এরা দু’জন। তাদের গ্রেফতার করে জেরা শুরু করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি জেরার মুখে তারা স্বীকার করে নেয় নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের বিষয়টি।
সেই সূত্র ধরে তদন্তের গতি আরও বাড়ায় পুলিশ। উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। খুনের সময় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করে পুলিশ। ছোট্ট ওই মেয়েটির গলায় একটা লকেটও ছিল। অভিযুক্তদের একজনের বাড়ি থেকে সেই লকেটটিও উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করে পুলিশ। আদালতে শুরু হয় শুনানি পর্ব। সব মিলিয়ে ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয় আদালতে। শেষে গতকাল অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন ঝাড়গ্রাম আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। আজ তাদের ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ধর্ষণ ও খুনের এই মামলায় আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে নাবালিকার পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্যও।