Jangalmahal: ৭ কেজির টিউমার রোগীর পেটে, জঙ্গলমহলের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার
Jhargram: পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বছর ৪৫-এর এক মহিলা। কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেন এমন ব্যথা হচ্ছে। এরপরই চিকিৎসকরা জানান, তাঁর পেটে টিউমার রয়েছে।
ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বড়সড় সাফল্য। অস্ত্রোপচার করে রোগীর পেট থেকে বের করলেন সাড়ে ৭ কেজি ওজনের টিউমার। ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Nayagram Super Speciality Hospital) এই সাফল্যে খুশি এলাকার লোকজন। কলকাতা কিংবা শহরতলীর হাসপাতালগুলিতে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের কথা প্রায়শই শোনা যায়। তবে জঙ্গলমহলের হাসপাতালে এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে এলাকার রোগী কিংবা তাঁর পরিবারের বুকেও ভরসা জোগানোর মতো।
পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বছর ৪৫-এর এক মহিলা। কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেন এমন ব্যথা হচ্ছে। এরপরই চিকিৎসকরা জানান, তাঁর পেটে টিউমার রয়েছে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় থাকেন। কোথায় কীভাবে চিকিৎসা করাবেন তা নিয়ে ভাবনায় ছিলেন।
কারণ, শুধু টিউমারই নয়, ওই মহিলার শরীরে আরও বেশ কিছু সমস্যা আছে। উচ্চ রক্তচাপও আছে। তার মধ্যে এমন টিউমার। এরপরই ১৩ জুন নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। জেনারেল সার্জেন এবং গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ নেয় পরিবার। প্রাথমিকভাবে যা করা প্রয়োজন সেই চিকিৎসা করে পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে সামাল দেওয়া হয়। এরপরই ল্যাপারোটমি সার্জারির সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। এরপরই ওই মহিলার পেট থেকে বের হয় বিশাল গোলাকার ওই টিউমার। ওজন প্রায় সাড়ে ৭ কেজি। আপাতত স্থিতিশীল ওই মহিলা।
নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রায়শই এই ধরনের ঝুঁকির অস্ত্রোপচার করা হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, কলকাতা শহরের প্রথম সারির হাসপাতাল নিয়ে যেভাবে প্রচার হয়, তা প্রত্যন্ত জেলার ক্ষেত্রে হয় না বলে অনেকে জানতেও পারেন না। এই প্রচার আসলে রোগীদের মনোবল বাড়ায়। মানুষ যদি জানতে পারেন, তাঁর এলাকায় এত ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটা হাসপাতাল আছে, এর থেকে বড় নিরাপত্তার খবর কী বা হতে পারে। চিকিৎসক শিবশঙ্কর বর্মন, চিকিৎসক সাগরময় জানা ও চিকিৎসক শুভঙ্কর সামন্তের তত্ত্বাবধানে এই অস্ত্রোপচার হয়। ওই মহিলার ছেলে বলেন, “আমার মা যে বাঁচবে কোনও আশা ছিল না। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তারবাবুরা যে এই ধরনের অপারেশন করে আমার মাকে বাঁচিয়ে তুলেছেন তার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ। সবথেকে বড় কথা এত বড় একটা সার্জারি হল, অথচ একটা টাকা খরচ হয়নি আমাদের।”