Justice Abhijit Ganguly on ECL: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তীব্র ভর্ৎসনা ECL-কে, আশায় বুক বাঁধছেন শিক্ষকরা

Justice Abhijit Ganguly on ECL: উল্লেখ্য, ইস্টার্ন কোলফিল্ডের অধীনে ঝাড়খণ্ডে ৯ ও পশ্চিমবঙ্গে ৭ বিদ্যালয় আছে। ইস্টার্ন কোলফিল্ডের স্কুলগুলিতে বিএড ডিগ্রি প্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাসে ৭০০০ টাকা, স্নাতক শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাসে ৫৫০০ টাকা এবং তার নিচের শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকরা মাসে ৫০০০ টাকা বেতন পান।

Justice Abhijit Ganguly on ECL: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তীব্র ভর্ৎসনা ECL-কে, আশায় বুক বাঁধছেন শিক্ষকরা
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তীব্র ভর্ৎসনা ইসিএলকেImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2023 | 7:36 AM

আসানসোল: সময় মতো বেতন পেতেন না। কারোর-কারোর আবার বেতন বাড়েইনি। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবার বকেয়া বেতন পাবেন ইসিএল-এর স্কুলের শিক্ষকরা। যা শুনে রীতিমতো খুশি তারা।

উল্লেখ্য, ইস্টার্ন কোলফিল্ডের অধীনে ঝাড়খণ্ডে ৯ ও পশ্চিমবঙ্গে ৭ বিদ্যালয় আছে। ইস্টার্ন কোলফিল্ডের স্কুলগুলিতে বিএড ডিগ্রি প্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাসে ৭০০০ টাকা, স্নাতক শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাসে ৫,৫০০ টাকা এবং তার নিচের শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকরা মাসে ৫০০০ টাকা বেতন পান। তবে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় ৪৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার অভিযোগ, নিজেদের খেয়াল খুশিমতো বেতন দিচ্ছে ইসিএল।

কারও ৪ থেকে ৫ মাস আবার কারও ১০ মাস। আবার কারও ৭ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত বকেয়া আছে বেতন। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই ইসিএলের শিক্ষকেরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষকদের বেতন না পাওয়া নিয়ে মামলায় ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। এই মামলায় বিচারপতির মন্তব্য,”স্কুল না চালাতে পারলে আদানিকে বেচে দিন।” তাঁর মন্তব্য,”দেশে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করা হচ্ছে আর শিক্ষকদের এই অবস্থা? টাকা দিয়ে চাইলে স্কুল বন্ধ করে দিন। শিক্ষকদের চোখের জল ফেলবেন না। মামলা করতে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছেন, আর বেতন দিতে পারছেন না? স্কুল চালাতে না পারলে আদানিকে বেচে দিন।”

সপ্তাহখানেকের মধ্যে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতির। এই টাকা দিয়ে সব শিক্ষকদের ৫০০০ হাজার টাকা করে ৩ মাসের জন্য মোট ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আগামী ২১ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।

শিক্ষকরা বলেন,”আমাদের বেতন সময়ে দেওয়া হয় না। অনেক কম বেতনে আমরা শিক্ষকতা করি। অনেকের রিটায়ারমেন্টের সময় হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে এক পয়সা বেতন বাড়েনি। যা বেতন দেওয়ার কথা সেই বেতনও ৪-৫ মাস বকেয়া আছে। কারোর কারোর আরও বেশি দিন বকেয়া আছে।” শিক্ষকদের আরও বক্তব্য, বেতন পাননি তাঁরা কিন্তু পড়ানো বন্ধ করেননি। স্কুলগুলির অবস্থা ও জরাজীর্ণ। বেহাল দশা। সার্বিকভাবে স্কুলগুলির অবস্থার পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন তারা। যদিও, এই প্রসঙ্গে ইসিএল কতৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।