Malda: ‘২ লাখ টাকা কম, আর একটু বাড়াতে হবে’, মালদায় মন্ত্রীকে পাশে নিয়েই রাজ্যের কাছে আর্জি অধীরের
Malda: সাবিনা ইয়াসমিনকে পাশে নিয়েই ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বললেন অধীরবাবু। তিনি যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কাছে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য সব জায়গায় দরবার করছেন, তা বোঝানোর চেষ্টা করেন। একইসঙ্গে মন্ত্রীর কাছেও অনুরোধ করলেন যাতে রাজ্যের তরফে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
মালদা: মিজোরামে নির্মীয়মান সেতু ভেঙে মালদার ২৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ২ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারপর এদিন মমতার ক্যাবিনেটের অন্যতম সদস্য তথা মালদার তৃণমূল নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করেন। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌঁছে যান মালদার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে।
দু’জন আলাদা আলাদাই গিয়েছিলেন। তবে মাঝে এক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বাড়িতে মুখোমুখি হয়ে যান অধীরবাবু ও সাবিনা ইয়াসমিন। সেখানে সাবিনা ইয়াসমিনকে পাশে নিয়েই ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বললেন অধীরবাবু। তিনি যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কাছে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য সব জায়গায় দরবার করছেন, তা বোঝানোর চেষ্টা করেন। একইসঙ্গে মন্ত্রীর কাছেও অনুরোধ করলেন যাতে রাজ্যের তরফে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বললেন, ‘রাজ্যের তরফে এখানে মন্ত্রী আছেন। তাঁরা কী বলছেন, তা শুনুন। তাঁদের একটু বেশি করে সাহায্য দেওয়া উচিত বলে আমি দাবি করছি। মন্ত্রীর সামনেই দাবি করছি। ২ লাখ টাকা কম। আর একটু বাড়াতে হবে। আমাদের তরফে যা যা সম্ভব আমরা করেছি।’
যদিও পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, অধীরবাবু নিজস্ব অ্যাজেন্ডা নিয়েই সেখানে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘কোন দল পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াচ্ছে জানি না। কিন্তু মা-মাটি-মানুষের সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। অধীর চৌধুরী ওনার প্রোপাগান্ডা, ওনার এজেন্ডা নিয়ে এসেছেন।’
এদিকে অধীর চৌধুরীও আবার বললেন, ‘রাজ্য সরকারকে বলব, আপনারা পুজোয় ৭০ হাজার কেন, ৭০ লাখ করে দিন। মোয়াজ্জেমদের আরও টাকা দিন। কিন্তু এই গরিব পরিবারগুলির পাশে থাকুন। এদের পাশে কেউ নেই। কাল কী খাবে, এরা জানে না। একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিন।’