Maldah Murder: প্রথম কন্যা সন্তানের পর ছেলের আশায় পরপর দু’বারই মেয়ের জন্ম! স্ত্রীর ওপর শোধ তুললেন স্বামী
Maldah Murder: পরিবার ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে মালদহ জেলার রথুয়া থানার আলিপাড়া বাসিন্দা রফিকুল আলমের মেয়ে ছবিনা খাতুনের বিয়ে হয় পাঁচপাড়া কলোনির যুবক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে।
মালদহ: প্রথম সন্তান কন্যা। তারপর ছেলের আশায় পরপর দু’বার চেষ্টা। সেই দুই সন্তানও কন্যা হয়েই জন্ম দেয়। গোটা পরিবারের আক্রোশ গিয়ে পড়ে গৃহবধূর ওপর। স্বামীরও কুনজরে পড়েন। পরপর তিনবার কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার রতুয়া থানার পাঁচপাড়া কলোনি এলাকায়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম ছবিনা খাতুন। বয়স ২৫ বছর। অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল হান্নান। ঘটনার পর থেকে পলাতক তিনি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে মালদহ জেলার রথুয়া থানার আলিপাড়া বাসিন্দা রফিকুল আলমের মেয়ে ছবিনা খাতুনের বিয়ে হয় পাঁচপাড়া কলোনির যুবক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে। বিয়ের পরেই কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তাঁদের পরিবারে। তখন থেকেই গৃহবধূর ওপর অত্যাচার শুরু করে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
পরপর আরও দুই কন্যা সন্তান হলে গৃহবধূর ওপর আরও অত্যাচার বেড়ে যায়। অভিযোগ গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের। এরপরেই গৃহবধূকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মাঝেমধ্যে পরিবারের সদস্যদের সেকথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ির লোক সবসময়ে আশ্বাস দিতেন সমস্যা ধীরে ধীরে মিটে যাবে। এই বুঝিয়েই শ্বশুরবাড়িতে মেয়েকে আবার রেখে আসতেন বাড়ির লোক। পরিবারের অভিযোগ, তৃতীয় কন্যা সন্তান জন্মের পরই ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। মারধর আরও বেশি হতে থাকে। অভিযোগ, মারধর করার পরেই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। রাতেই খবর পান মৃত গৃহবধূর বাবা ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। মৃত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।