Virus Infection: দুধ গিয়েছে কমে, ঝিমোচ্ছে সারাক্ষণ! ভাইরাসের আক্রমণে কাবু মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার গরু
Malda: মালদহ জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে সে জেলায় ৮ লক্ষ ৮০ হাজার গরুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সে জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ গরুকে টিকা দেওয়া হবে।
মালদহ: করোনাভাইরাসের গুঁতোয় ২ বছরের বেশি সময় ধরে ভুগছে মানুষ। সম্প্রতি দেশে কোভিড সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও এ রাজ্যে মোটের উপর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু সম্প্রতি একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে মালদহ জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকে। সেই ভাইরাস ঘিরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। তবে ভাইরাসটি মানুষকে সংক্রমিত করছে না। মূলত গরুর দেহে ছড়িয়ে পড়ছে ওই ভাইরাস। মালদহের একের পর এক এলাকার গরু আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে। সেই ভাইরাসের কবল থেকে গরুকে বাঁচাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর। টিকা ছাড়া ওই ভাইরাসের প্রতিকারের কোনও উপায় নেই বলে জানিয়েছেন মালদহ জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর উৎপলকুমার কর্মকার। তিনি জানিয়েছেন, ভাইরাসঘটিত গরুর এই রোগকে বলে ক্ষুরাই রোগ।
মালদহ জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে সে জেলায় ৮ লক্ষ ৮০ হাজার গরুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সে জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ গরুকে টিকা দেওয়া হবে। প্রাণী সম্পদ কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে এই টিকা দেবেন। ক্ষুরাই রোগের প্রতিকারের জন্য এফএমডি টিকা ইতিমধ্যেই চলে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। গরুর এই ভাইরাসঘটিত রোগ নিয়ে উৎপলকুমার কর্মকার বলেছেন, “এই রোগকে ক্ষুরাই রোগ বলা হয়। গরুর ক্ষুর আর মুখে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। ভাইরাস সংক্রমণে গরুর এই দুই জায়গায় ঘা হয়। এই রোগে আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা গরুর গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে দুধের উৎপাদনও কমে যায়। অনেক সময় গরু দুধ দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। একটি গরু থেকে অন্য গরুতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগের একটাই প্রতিকার- টিকা দেওয়া। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে সেই কাজ শুরু করা হবে। জেলায় প্রায় ৮ লক্ষ ৮০ হাজার গোরুকে টিকা দেওয়া হবে। এ ব্য়াপারে আমরা প্রচারও শুরু করেছি।”
মালদহের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে খবর, সে জেলার হবিবপুর, বামনগোলা এবং গাজোল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার গরুদের মধ্যে ক্ষুরাই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গণেশ ঘোষ নামের গাজোলের এক বাসিন্দা বলেছেন, “আমার প্রথমে একটি গরু সংক্রামিত হয়। পরে অন্য দু’টি গরুর মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাতেও অনেকের গরু অসুস্থ।” গোপাল মণ্ডল, নামের এক গোপ্রতিপালক বলেছেন, “গরু বাছুর দুটোই অসুস্থ। খাচ্ছে না। দুধ প্রায় হচ্ছেই না। সর্বক্ষণ ঝিমোচ্ছে। আশেপাশের অনেকের গরুর একই রোগ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন বা মেডিসিন কিছু দিতেই আসেনি।”